ফেইচবুক থেকে।। গতকাল ছিল বিবর্তনবাদের জনক বিশ্বইতিহাসখ্যাত প্রকৃতিবিদ চার্লস ডারউইনের ১৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ডারউইনের জন্ম ১৮০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডে। ১৮৩১ সালে পাঁচ বছরের বৈজ্ঞানিক অভিযানে যোগ দেন ডারউইন। ‘হিজ ম্যাজেস্টিস সার্ভিস বিগল’ নামক জরিপ জাহাজে অভিযানকালে তিনি লয়েলের ভূতত্ত্বের মূলনীতি অধ্যয়ন করেন। অভিযান শেষে ইংলন্ডে ফিরে আসেন ১৮৩৬ সালে। ফিরে এসে তিনি তার পর্যবেক্ষণগুলো ও প্রজাতির বিকাশের রহস্য উম্মোচনে সচেষ্ট হন। তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিবর্তন তত্ত্বের প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।
![]() |
![]() |
তার মতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকে থাকার প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো প্রদানের মাধ্যমে স্বীয় পরিবেশে সর্বাপেক্ষা যোগ্য প্রাণিকুল(বা উদ্ভিদকুলই) টিকে থাকবে এবং বংশবৃদ্ধি ও প্রজাতির পরিবর্তন সাধিত করবে। ডারউইন ২০ বছর ধরে তার গবেষণা চালান। ১৮৫৯ সালে ডারউইন প্রজাতি উদ্ভব প্রসঙ্গে (On the Origin of Species by Means of Natural Selection) প্রকাশ করেন। ডারউইনের তত্ত্বের যৌক্তিক ব্যাপ্তি অনুযায়ী মানুষ (homo sapiens) অন্যান্য প্রাণীর মতো এক ধরনের প্রাণী। মানুষের উদ্ভব সম্ভবত ‘এপস’ (লেজবিহীন বানর) থেকে, যা পৃথিবীর সৃষ্টি-সম্পর্কিত প্রচলিত বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে।
সব ধরনের প্রজাতিই কিছু সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়েছে তার বিশেষধর্মী এই পর্যবেক্ষণটি সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন। বিবর্তনের নানা শাখা-প্রশাখায় ভাগ হওয়ার বিন্যাসকে তিনি প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসেবে অভিহিত করেন। ১৮৭১ সালে তিনি মানব বিবর্তন, মানুষের ক্রমনোন্নয়ন ও তার পরপরই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীতে অনুভূতির প্রকাশ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। বৃক্ষ নিয়ে তার গবেষণা কয়েকটি গ্রন্থে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং তার শেষ বইতে তিনি কেঁচো এবং মাটির উপর এদের প্রভাব নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেন। আজীবন বিজ্ঞানের সাধক মহান এই বিজ্ঞানী ১৮৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সূত্রঃ কাজী সালমা সুলতানার ফেইচবুক থেকে সংগৃহীত ও ইষৎ সম্পাদিত।