1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আমাদের অনেক গরু দরকার - মুক্তকথা
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন

আমাদের অনেক গরু দরকার

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭
  • ৩১৭ পড়া হয়েছে

রাজিক হাসান।।

“আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যত না উদ্বিগ্ন থাকি তার চেয়ে ঢের বেশি উদ্বিগ্ন থাকি শেখ মুজিবুরের পেছনে কালো চশমাওয়ালা ওই লোকটিকে নিয়ে।” জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেছিল কথাটি তাজউদ্দীনকে ইঙ্গিত দিয়ে। ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন তিনি। সেই বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভের পরও ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তাজউদ্দীনের ভাষায়, ‘আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো : একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা৷’ ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় শত শত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক এবং উপস্থিত জনগণের সামনে তিনি অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকানমারা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সফরে আসলে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ তার সাথে বৈঠকে ছিলেন চরম অনিচ্ছুক। কারণ ম্যাকানমারা ছিলেন ভিয়েতনাম যুদ্ধের মূল হোতা। এমন কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেও নিক্সন-কিসিঞ্জারের সাথে সুর মিলিয়েছিলেন। কিন্তু কূটনীতির কাছে জেদ কতক্ষণ। বৈঠকে বসলেন তাজউদ্দীন।
ম্যাকনামারা – মিস্টার মিনিস্টার, বলুন বাংলাদেশের কি ধরনের সাহায্য দরকার?
তাজউদ্দীন – মিস্টার মাকনামারা, আমাদের যা দরকার। আপনি তা দিতে পারবেন কি না আমার সন্দেহ আছে।
ম্যাকনামারা – আপনি বলুন, আমি চেষ্টা করবো।
তাজউদ্দীন – আমাদের এখন অনেক গরু দরকার। যুদ্ধের সময় কৃষকদের সব গরু হারিয়ে গেছে। এখন যুদ্ধ শেষ, চাষী ফিরেছে কিন্তু গরু নাই। চাষ করবে কীভাবে? তাই আমাদের প্রথম দরকার গরু।
সদ্য স্বাধীন হওয়া, অতিদরিদ্র একটি দেশের অর্থমন্ত্রীর এমন কথা শুনে বিশ্বব্যাংক এর প্রধান বিস্মিত। কি বলবেন বুঝতে পারছেন না।
তাজউদ্দীন – ‘আরও আছে। আমাদের অনেক দড়িও দরকার। যুদ্ধের সময় সব দড়ি পুড়ে গেছে। শুধু গরু পেলে তো হবে না, গরুকে বাঁধতেও হবে। গরু আর দড়ি আমাদের খুব দ্রুত দরকার। তা না হলে সামনের মৌসুমে জমি চাষ করতে পারব না।’
নিঃসন্দেহে অসামান্য প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন তাজউদ্দীন। বাংলাদেশে তাঁর সাথে তুলনীয় কোন রাজনীতিক আজো চোখে পড়েনি।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT