মুক্তকথা সংবাদ।। ট্রাকের লাইনের দিকে নজর দিলে কি মনে হয়? কোথা থেকে আসছে এই গাড়ীগুলো আর কোথায়ই বা যাচ্ছে। এ প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। প্রতি সপ্তাহে এ নমুনার হাজার হাজার লরি ও ট্রাক আসে আর যায়। আসার দৃশ্যটি তেমন চোখে পড়ে না। তবে যাবার সময় এভাবেই লাইন দিয়ে দাড়াতে হয়।
প্রতি সপ্তাহে এসব গাড়ী বোঝাই পেট্রল, পাকশালার গ্যাস, খাদ্য সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, ছোট গাড়ী, মটর সাইকেল, ইলেক্ট্রনিক্স, বলতে গেলে দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুই এই গাড়ীগুলো বহন করে নিয়ে যায়। আসার পথে অধিকাংশের চেয়েও বেশী ফিরে আসে খালি।
এমন দৃশ্য ভারত-নেপাল সীমান্তের প্রতি সপ্তাহের। নেপাল, ভারতের উপর এমনিভাবেই নির্ভরশীল। প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার কোটি টাকার মালামাল ভারত থেকে নেপালে বহন করে নিয়ে যায় এসব গাড়ী। আসার পথে খালি আসে। নেপাল থেকে আনার কিছুই নাই। নেপাল এমনভাবেই ভারতীয় সামগ্রীর বাজার।
ইদানিং চীনদেশ নেপালের দিকে বেশ একটু সুনজরে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। নেপালও চাচ্ছে তার দক্ষিনের এই বন্ধুর উপর থেকে নির্ভরশীলতা একটু কমাতে। অধিক নির্ভরশীলতা বহুদিক থেকেই ভয়ানক বিপদের কারণ হতে পারে অতি সহজেই। তাই নেপালও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় মালামাল আমদানী করার।
হয়তো নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাবে ভারত-নেপাল সীমান্তের এই চেহারা পাল্টে গেছে। এর বিপরীতে নেপাল-চীন সীমান্ত চকমকে হয়ে উঠবে। চীনারাও বলতে গেলে অনেকটা উপযাচক হয়েই নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত রেল লাইন করে দেয়ার কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবার কথা। সবকিছুতো আর ট্রেনে আনা যাবে না। বহু জিনিস আছে যা ট্রাক দিয়ে আনা সহজ ও ব্যয়বহুল নয় বরং কম। দৃশ্যপট একেবারেই না পাল্টালেও কিছুটা পরিবর্তন আসবে। তবে ট্রেন হোক আর ট্রাকই হোক সেখানেও এসব গাড়ী-ঘোড়া ফেরৎ যাবে খালি। বিশেষজ্ঞদের তাই অভিমত।