মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেললাইনের পাশ থেকে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এক ছাত্রের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(২৬ জুলাই) রাত ১২টায় শ্রীমঙ্গল শহরতলীর রেলওয়ে আউটার সিগন্যাল এলাকার সাঁওতালপাড়া এলাকা থেকে শান্ত দেবনাথ(১৯) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধার করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শান্ত মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানা যায়।
উদ্ধার করা মরদেহের কোমর থেকে শরীর ও দুটি হাত বিছিন্ন ছিল এবং একটি হাত খোঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে হয়তো শেয়ালের দল হাতটি নিয়ে গেছে। মরদেহের সাথে পাওয়া মোবাইল ফোন থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। শান্ত দেবনাথ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার রাজনগর গ্রামের নিখিল দেবনাথ এর ছেলে।
এ ব্যাপারে শান্ত দেব নাথের চাচাতো ভাই শিমুল দেবনাথ বলেন, শান্ত দেবনাথ কে সারা দিন খোঁজে না পেয়ে রাতে রাজনগর থানায় জিডি করতে যান। এমন সময় শ্রীমঙ্গল থেকে ফোন পেয়ে এসে শান্তকে সনাক্ত করেন। শ্রীমঙ্গলে কেন শান্ত এসেছে এবং ওই সাঁওতাল পাড়া এলাকায় কেন যাবে তা সঠিকভাবে তিনি বলতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মীর সাব্বির আলী জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশটি ট্রেনের কাটা না অন্য কিছু তা পুলিশি তদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।
শ্রীমঙ্গলের কৃতি সন্তান চিন্ময়ী ভট্টাচার্য্য আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক লাভ করেছে। পরবর্তীতে সে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করবে। আজ বুধবার ঢাকার শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সে কবি শামছুর রহমানের জনপ্রিয় কবিতা ‘প্রশ্ন’ আবৃত্তি করেছিল।
জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০২৩ এ জাতীয় পর্যায়ে কবিতা আবৃত্তিতে ‘খ’ গ্রুপে ১ম স্থান অধিকার করে চিন্ময়ী ভট্টাচার্য্য স্বর্ণপদক লাভ করেছে। সে শ্রীমঙ্গলের নটরডেম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
চিন্ময়ীর গর্বিত পিতা সুধেন্দু ভট্টচার্য্য শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক ও মাতা বনশ্রী চক্রবর্তী মৌলভীবাজার দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের শিক্ষিকা।
এছাড়াও চিন্ময়ী ২০২৩ সালের ধারাবাহিক গল্প বলায় বিভাগীয় পর্যায়ে ২য় স্থান লাভ করে, মাটির কাজে ২০২২ এ তৃতীয় এবং ২০২৩ এ ২য় স্থান অধিকার করেছে।
এমন অর্জনের পর চিন্ময়ী তার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, প্রচন্ড জ্বর নিয়ে ঢাকা রওয়ানা হয়েছি। শংকা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায়ই আবৃত্তি করলাম। ফলাফল শুনে আমিতো রীতিমতো বাকরূদ্ধ। এমন সাফল্য পাব ভাবতেই পারিনি। সবার দোয়া ও আশির্বাদ এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমার এই প্রাপ্তি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষকসহ সবার প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
চিন্ময়ীর বাবা সুধেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, আমার মেয়ের জন্য এমনটা অপেক্ষা করছে, আমি ভাবতেই পারিনি। ঢাকা রওয়ানা হওয়ার ঠিক পূর্বে মেয়ের প্রচন্ড জ্বর। মেয়ের প্রচন্ড আগ্রহ এবং এমন সুযোগ হাতছাড়া করি কিভাবে। চেষ্টা করতে তো ক্ষতি নেই। আমার আদরের চিন্ময়ী তার মেধা ও কষ্টের ফল পেয়েছে বলে সৃষ্টিকর্তার নিকট অশেষ কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই তার সকল শিক্ষকদের প্রতি, যারা আমার মেয়ের সাফল্যের পিছনে ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার দেবাশীষ চৌধুরী রাজা, সিলেটের নাজমা পারভীন ও তার বড়বোন মৃন্ময়ী ভট্টাচার্যের পরিচর্যা।