ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশি করে গবেষণা করতে কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নির্দেশ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, গবেষণা ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য যদি আমরা বেশি করে উৎপাদন করতে পারি, তাহলে কারো কাছে মাথা নত করে দাঁড়াবার কোন অবকাশ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, যুদ্ধ-রাজনৈতিক সংঘাত, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রভৃতি কারণে প্রয়োজনের সময় বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে না। সেজন্য, ফসলের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু কাজে লাগিয়ে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে বিগত ১৫ বছরে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দেশ এখন চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ধান চাষের ফলে আগে যেখানে প্রতি বিঘাতে ৪-৫ মণ ধান হতে, সেখানে এখন বিঘাতে ৩০ মণের বেশি ধান উৎপাদন হয়। এর ফলে জনসংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ১৭ কোটি হলেও দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই, সংকট নেই।
বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় মিলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। বাজারে সিন্ডিকেট কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সেটির প্রক্রিয়া চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেছি, যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হাটবাজারে যারা মজুতদারি করে তাদের অনুরোধ করবো তারা যেন এ হারাম ব্যবসা না করেন।
বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ব্রির বিজ্ঞানীরা আরও বেশি করে গবেষণা করেন। উৎপাদন যাতে আরও বেশি হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের যে মেধা আছে, তারা আরও এগিয়ে যাবেন। আমাদের দেশের অর্থনীতির শতকরা ৮০ ভাগ নির্ভর করে কৃষির ওপর। কৃষিকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারলে আমাদের অভাব থাকবে না। দারিদ্র্য নির্মুল হয়ে যাবে। খাদ্যে আমরা উদ্বৃত্ত থাকব।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভান্ডারি, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শ্রীমঙ্গলে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলো নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ স্মার্ট ওমেন্স এসোসিয়েশন’। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রয়ারী) বিকেলে উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্মার্ট ওমেন্স এসোসিয়েশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নারীনেত্রীদের অংশগ্রহণে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
উল্ল্যেখ্য যে, বাংলাদেশ স্মার্ট ওমেন্স এসোসিয়েশন সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচীর একটি। এছাড়াও সংগঠনটি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও বেকার মহিলাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মজীবী নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ব্রত নিয়ে কাজ কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ স্মার্ট ওমেন্স এসোসিয়েশন সভাপতি মিতালি দাস রানু বলেন, কেউ পিছনে থাকবে না, আমরা সকল নারীদের নিয়ে একসাথে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশ স্মার্ট ওমেন্স এসোসিয়েশনের মাধ্যমে সকলের সহযোগিতায় ২০২৪ সালে পাঁচ হাজার নারীকে কর্মজীবী হিসেবে প্রতিষ্টা করবো। মূলত: আমরা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ও দিকনির্দেশনা মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্টা করতে চাই।
সংগঠনের সভাপতি মিতালি দাস রানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরণে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবিতা দাস, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর শারমিন জাহান, অপরাজিতা সদর ইউনিয়নের সভাপতি ও সাবেক মহিলা মেম্বার পারভীন চৌধুরী, বাংলাদেম স্মার্ট ওমেন্স এসোসিয়েশনের খাইরুন নাহার লিপি, সুমি বেগম, শেফালী আক্তার, মালা কৈরীসহ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।
“গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত নিডি “শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীত উপহার(কম্বল) বিতরণ করার উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ মৌসুমে সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলায় ১ হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হবে। গত রবিবার(৪ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার ক্লাবে ২’শত শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মসুদ আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং বিআইএস মৌলভীবাজার এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মিসবাহুর রহমান।
অনুষ্ঠান চলাকালে বৃটেন থেকে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের আহ্বায়ক কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর।
শীতবস্ত্র বিতরণে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, বাসস মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ডা: ছাদিক আহমেদ, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দ নওশের আলী খোকন, মৌলভীবাজার সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধুরী, সেবা প্রাইভেট ক্লিনিকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়নাল খান, ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি বদরুল মনসুর, প্রবাসী আহমদ আলী জিবু, একাটুনা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মুজিব মনসুর, সাবেক ইউপি মেম্বার লিপন মিয়া, কচুয়া আল-মনসুর ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের অন্যতম ট্রাষ্টি মোহাম্মদ কামাল মনসুর, মৌলভীবাজার আনন্দ পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম ও যুবসংগঠক আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিসবাহুর রহমান গ্রেটার সিলেট ইউকের এই ধরনের মানবিক উদ্দ্যোগের ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, আপনাদের সংগঠনের আগামী দিনের পথচলায় আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব শুধু এই প্রজেক্ট নয় আগামীতে আমাদের সংগঠন এর পক্ষ থেকে আরও মানবিক প্রজেক্ট আমরা নিয়ে আসবো এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
বৃটেন থেকে টেলিকনফারেন্সে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কনভেনার কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, প্রবাসীদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে সরকারের সাথে লবিং করা এবং গ্রেটার সিলেট তথা বাংলাদেশে মানবতার কল্যাণে ও বৃটেনের কমিউনিটির উন্নয়নে ঐক্যের বন্ধনে কাজ করার দীপ্ত শপথে গঠিত গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলায় ১ হাজার “শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীত উপহার (কম্বল) বিতরণ করার উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় আজ মৌলভীবাজারে ২ শত শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পযার্য়ক্রমে অন্যান্য জেলায় ও বিতরন করা হবে এতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কো-কনভেনার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মসুদ আহমদ আজকের এই মহতি পোগ্রাম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ টিম সহ যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
শ্রীমঙ্গল শহরের ১৫ জন রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে শীত সামগ্রি ও সুরক্ষা বেল্ট প্রদান করলো শ্রীমঙ্গলের পুলিশ প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রয়ারী) মধ্যরাতে শ্রীমঙ্গল থানায় উপস্থিত থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে কম্বল ও সুরক্ষা বেল্ট প্রদান করেন, শ্রীমঙ্গল থানা’র অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায়।
গভীর রাতে শহরের মৌলভীবাজার রোড ও কলেজ রোডের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত নৈশপ্রহরীদের মাঝে এসমস্ত শীতের কম্বল ও সুরক্ষা বেল্ট বিতরণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় বলেন, নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যদি শীতে কষ্ট করেন, তাহলে তো তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। এলাকার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও একদিক দিয়ে আমাদের সহকর্মী। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই শীতবস্ত্র ও সুরক্ষা বেল্ট বিতরণ করেছি। বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। শ্রীমঙ্গল পুলিশ প্রশাসম সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম সেলিম সহ শ্রীমঙ্গল থানার কর্তব্যরত অফিসার বৃন্দ।