1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
"খোদা কি ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো"! - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

“খোদা কি ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো”!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ১৩৬৪ পড়া হয়েছে

“বিজয় ও নির্বাচনের মাসে শুভ কামনা বাংলাদেশ”। 🇧🇩

দিপু কোরেশী,

■ রাজনীতি যদি অধিকাংশেই রাজনৈতিক দস্যুদের দখলে থাকে আর স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিত্ব যদি অধিকাংশেই বিতর্কিত মানুষের আয়ত্তে থাকে তখন রাষ্ট্র, সমাজ ভূল পথে চলবে কিংবা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। এর খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয়েছে এবং দিতে হচ্ছে! রাজনীতিবিদদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মিথ্যে বলতে হয়, ক্ষমতায় যেতে মন মাতানো প্রতিশ্রুতি দিতে হয় এবং জনগণও তা ঠিকই বুঝেন। রাজনীতি যারা করেন তাদের কথাগুলো কবিতার ছন্দের মতো শ্রুতিমধুর হলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। তারপরও রাজনীতিবিদরাই নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে সর্বোচ্চ দেশ প্রেমের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে সর্বাধিক স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাবেন জনগণ সেই আশাটুকুই শুধু তাদের কাছে করেন।
■ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর এক টুকরো ৫৬ হাজার বর্গমাইল কারো করুণায় পাওয়া নয়। লক্ষ মানুষের প্রাণ আর বীরাঙ্গনাদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই লাল সবুজের পতাকা। মুখে নয় অন্তরে যাদের বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন তারাই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারেন, তারাই এগিয়ে নিবেন।
■ বিজয়ের মাসে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের! তারপর?
মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করে শেষ বিদায় জানানোর সাথে মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত থাকা অবস্থায়ও তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় সহায়তা প্রদান করে সম্মান জানানো হলে বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হতো!
■ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাক বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য নিয়ে জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ এই বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দেখে পাকিস্তানিরা নিজেই আফসোস করে। কিছুদিন আগে টেলিভিশনের টক শোতে পাকিস্তানের এক বুদ্ধিজীবি জাইঘাম খান বাংলাদেশের জিডিপি, স্টক এক্সচেঞ্জ, এক্সপোর্টের পরিসংখ্যান টেনে এনে বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন পাকিস্তান যদি বাংলাদেশের গতিতে উন্নয়ন করে যায় তাহলে বাংলাদেশের সমকক্ষ হতে হলে পাকিস্তানের ১০-১২ বছর সময় লেগে যাবে। তিনি ইমরান খানকে সুইডেনের পরিবর্তে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে গিয়ে বলেন, “খোদা কি ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো”!
■ আজকের এই বাংলাদেশের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তার কৃতিত্ব কম বেশি বিগত অনেক সরকারের। বাংলাদেশ এই এগিয়ে যাওয়া একদিনে হয় নি। স্বাধীনতার পর থেকে বহু উঁচু নিচু পথ পাড়ি দিয়েই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষও দেশের এই এগিয়ে যাওয়াকে অবশ্যই সাধুবাদ জানান। কিন্তু রাষ্ট্র যন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলোর লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, লুটতরাজ, স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যা, মাদক আর সন্ত্রাসের রাজত্ব ও জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার দৌরাত্ম্য সহ সকল প্রকার অরাজকতার বিষ বৃক্ষের শেকড় উপরে ফেলা না হলে সেই এগিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য সত্যিকার অর্থে কতটুকু কল্যাণ বয়ে আনবে এবং এই এগিয়ে যাওয়া কতটুকুই বা অর্থবহ হবে? সাধারণ মানুষ জীবন মানের উন্নতি চান সত্য তবে তারচেয়ে বেশি চান জীবনের নিরাপত্তা আর শান্তি। তাই দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশের মানুষের মনের ভাষা অবহেলা করার কিংবা না বুঝার রাজনীতিবিদ আর রাষ্ট্র পরিচালকদের কোন সুযোগ নেই।
■ মুক্তিযুদ্ধ যেমন ছিল রক্তের তেমনি ছিল আন্তর্জাতিক কূটনীতির। এই আন্তর্জাতিক কূটনীতির মারপ্যাঁচে বাংলাদেশের কাছে এক ভিলেন ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। এই পাপিষ্ঠ আমাদের স্বাধীনতাকামী জনতাকে রুখে দিতেই সপ্তম নৌবহর পাঠাতে মূল ভূমিকা রেখেছিল। সেই হেনরি কিসিঞ্জারের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বলা “তলাবিহীন ঝুড়ি” নামক এই বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে, আরো পরিপূর্ণতা পাবে।
■ সুষ্ঠু, অবাধ ও অহিংস নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরো টেকসই করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। জাতিসংঘ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতার স্বীকৃতি অর্জন করা বাংলাদেশ পুরোপুরি ভাবে অর্থনেতিক মুক্তির সাথে শোষণহীন, বৈষম্যহীন সোনার বাংলা হবে একদিন। স্বাধীনতা অরক্ষিত রেখে পরাধীনতার যে শৃঙ্খল সে থেকে মুক্ত থাকবে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশ হবে ৪৭ বছর আগে ১১ নং সেক্টরের কুড়িগ্রামের ১৪ বছরের বীর কন্যা দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক “তারামন বিবির” স্বপ্নের বাংলাদেশ।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। রইল বিনয়ী শ্রদ্ধা।
মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।
ইংল্যান্ড থেকে

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT