প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করেন ভূনবীর ইউনিয়নের সাতগাঁও বাজার এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক লন্ডন প্রবাসী বুলবুল আহম্মদ। তাকে সহযোগিতা করেন লন্ডন প্রবাসী তার দুই পুত্র বোরহান আহম্মদ ও রায়হান আহম্মদ।
মঙ্গলবার(১৮ জুলাই) প্রায় ৫০০ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চশমা প্রদান ও শতাধিক রোগীকে অপারেশনের জন্য মাতারকাপন বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় চক্ষু চিকিৎসা শিবির পরিদর্শন করেন দাতা সংস্থা ফ্রেড হোলোস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আমিনুর রহমান ও সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার নুরুল আলম সিদ্দিকী।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও মেরিগোল্ড কে.জি স্কুলে অনুষ্ঠিত বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল সাতগাঁও চক্ষু শিবির পরিষদ।
১৮ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিবিরে আসা রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করে ঔষধ ও চশমা প্রদান করা হয়। এদের থেকে বাছাইকৃত শতাধিক রোগীকে অপারেশনের জন্য চিহ্নিত করা হয়। একই দিনে অপারেশনের রোগীদের বি,এন,এস,বি চক্ষু হাসপাতাল মৌলভীবাজারে প্রেরণ করা হয়।
বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির পরিচালনায় বুলবুল আহমেদকে সহযোগিতা করেন সাতগাঁও চক্ষু শিবির কমিটি সভাপতি মোঃ ইউছুফ আলী, সম্পাদক মোঃ আকবর আলী, মেরিগোল্ড কে.জি স্কুলের পরিচালক জামাল আহমেদ, মাওঃ সৈয়দ ইন্তেছার আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভূনবীর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডা: আবুল বশর সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আর্থিক সহযোগিতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন লন্ডন প্রবাসী বুলবুল আহম্মদ ও দুই পুত্র লন্ডন প্রবাসী বোরহান আহম্মদ ও রায়হান আহম্মদ।
লেন্স সংযোজন, চশমা প্রদানসহ সার্বিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন বি,এন,এস,বি চক্ষু হাসপাতাল মৌলভীবাজার।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য দামে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সোমবার(১৭ জুলাই) উপজেলার শমশেরনগর বাজারের বিভিন্ন জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী, ফলের দোকান, প্রসাধনীর দোকানে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকি অভিযানে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধণী পণ্য বিক্রয় করা, নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রসাধনী বিক্রয় করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে শমশেরনগর বাজারে অবস্থিত শাপলা ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারকে ১ হাজার টাকা, ভাই ভাই ফলের দোকানকে ১ হাজার টাকা, দাশ বাণিজ্যালয়কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। অভিযানে মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ফাঁড়ির কানিহাটি চা বাগানের বড় লাইন থেকে ৮ বোতল ভারতীয় মদসহ(৩৭৫ এমএল সিগনেচার) এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
গত সোমবার রাত ৯টায় কানিহাটি চা বাগানের বড় লাইন এলাকা থেকে দিলীপ পালের ছেলে নির্মল পাল(২৫)কে আটক করে মাদক উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমলঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাশি শর্মা, এএসআই বাবুল মিয়া ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযানে শমশেরনগরের কানিহাটি চা বাগানের বড় লাইনে অভিযান চালায়। এ সময় নির্মল পালকে আটক করে ৮বোতল(৩৭৫ এমএল সিগনেচার) ভারতীয় মদ উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি(তদন্ত) শামীম আকনজি। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৮ লিটার ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আটক নির্মল পালকে মঙ্গলবার মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।