লন্ডন: কোন সঠিক ন্যায্য আন্দোলন যেমন মরেনা, আন্দোলনকারীরাও মরেনা। কমপক্ষে ওই আন্দোলনকারীদের মাঝে তো তারা বেঁচে থাকবেই। তাই লিউ শিয়াবো-দের মৃত্যু নেই। দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের মাঝে তারা বেঁচে থাকবেন অনাদি অনন্তকাল তাদের লেখার মধ্য দিয়ে।
লেখক, অধ্যাপক ও মানবাধিকার কর্মী নোবেল বিজয়ী লিউ শিয়াবো মারা গেলেন। লিউ শিয়াবো গণচীনের মানুষ। কেবল গত মাসেই তিনি মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসপাতালে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছেন লিউ শিয়াবো। ৬১ বছর বয়সে মারা গেলেন। কম্যুনিষ্ট চীনে রাজনৈতিক সংস্কার, একদলীয় শাসনের অবসান ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন লিউ শিয়াবো। আর এ লড়াই করতে গিয়ে ১১ বছরের কারাবাস মাথায় পেতে নিতে হয়েছিল। ২০০৯ সালে চীন সরকার তাকে এ শাস্তি দেয়। জেলবন্দি থাকা অবস্থায়ই পেয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার।
চীনা সাহিত্যে লেখাপড়া করে বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যপনার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন লিউ শিয়াবো। ১৯৮৯ সালে তিয়েনানমেন স্কোয়ার আন্দোলনে আটককৃত ছাত্রদের মুক্তির দাবীতে কথা বলতে গেলে তিনি গ্রেপ্তার হন। দু’বছর পর মুক্তি পেলেও বেজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আর অধ্যাপনা করতে পারেননি। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই মারা গেলেন এই কর্মবীর। তার শবযাত্রায় আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা রইলো।