মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা॥ ২২ মাসে ২২ দিন ডিউটি না করেই বেতন-ভাতা নিচ্ছেন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা বনিক। এমন সংবাদ গনমাধ্যমে প্রকাশের পর ‘নার্সিং ও মিডওইয়াইফারী’ অধিদপ্তর গত ৭ ডিসেম্বর ওই নার্সের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ‘নার্সিং ও মিডওইয়াইফারী’ অধিদপ্তরের উপসচিব শোভা শাহনাজ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে অধিদপ্তরের উপপরিচালক(শৃঙ্খলা) ফিরোজা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। সে অনুসারে ২৬ ডিসেম্বর তদন্তের দিন নির্ধারণ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজা বেগম। সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানানোও হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তদন্ত করা হয় পরের দিন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।
হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অভিযুক্ত রেখা বণিককে বাঁচাতে রেজিস্ট্রার ও ডিউটি রোস্টার পরিবর্তনে সহযোগীতা করেছেন হাসপাতালের দু’জন নার্সিং সুপারভাইজার। তারা নতুন খাতা তৈরী করে হাসপাতালের এইচআইভি কর্ণারে রেখা বণিক ডিউটি করছেন বলে দেখাচ্ছেন।
নার্সি ও মিডওইয়াইফারী অধিদপ্তরের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফিরোজা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন, আপনারা নিশ্চিত থাকেন। সত্য উদঘাটনের জন্য আমি চেষ্টা করছি।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমদ ফয়ছল জামান বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে উনার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকাবস্থায় ঘুষ, সহকর্মীর সাথে অসদাচরণ, চাঁদাবাজি, নির্যাতন সহ নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তৎকালীন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা সিকদার ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে বদলি করেন। কিন্তু মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে যোগদানের ২২ মাস অতিক্রম করলেও ২২ দিনও হাসপাতালে কর্তব্যকাজে উপস্থিত হননি নার্স রেখা বনিক।
|