1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ডাহুক পাখি শিকারি উস্তার মিয়ার ভিন্ন জীবন - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভুয়া গুলিবিদ্ধ সেজে আহত তালিকায় নাম লিখিয়ে নেয়া ॥ শিবিরের ইফতার র‍্যাব-৯ এবং কমলগঞ্জ ও বড়লেখা পুলিশ হত্যামামলার ৪ আসামীকে আটক করেছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা সমাবেশ দেশে ৩৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান করেন, বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ রোগে মৃত্যুবরণ করে। আরবীয় সংস্কৃতির প্রচলন করতে গিয়ে দেশি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। ‘প্রাইমেট ফেয়ার’ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি সচেতনতমূলক প্রচারণা জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বামজোট চা কন্যা পূর্ণিমা রেলি হত্যা ঘটনা… জামাতের ইফতার, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস প্রচার, ভিজিএফ’এর চাল ও হরিণাকান্দি বিএনপি ইফতার শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলায় হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ডাহুক পাখি শিকারি উস্তার মিয়ার ভিন্ন জীবন

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮
  • ১৫১৪ পড়া হয়েছে
পাখীপালক ও শিকারী উস্তার মিয়া

আব্দুল ওয়াদুদ।। চল্লিশ উর্ধ্ব এক ব্যতিক্রমী পেশার মানুষ উস্তার মিয়া। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার সুনামপুর গ্রামের স্থানীয়দের চেনা-জানা ওয়াপধা সড়কের পাশে তার বাড়ি। তবে গ্রামের সবার চেয়ে একটু ভিন্ন জীবন তার। ওই গ্রামে নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া যারা আছেন সবাই কৃষি ক্ষেত,মাছ চাষসহ ও অন্যান্য ক্ষুধে পেশায় জীবন চালান। উস্তার মিয়ার পেশা ও জীবনাচরণ পুরো উল্টো। পেটের তাগিদে জীবিকার সন্ধ্যানে গ্রামের লোকজন চলেন নিজ কর্মস্থলে চাকুরি, ব্যবসা-বানিজ্য কিংবা মৎস খামারে। তিনি বউ বাচ্চাদের খাবার যোগাতে ছুটে যান বনে বনে।
প্রতি রোজ ঝুঁপঝাড়, বন-জঙ্গল ও পরিত্যাক্ত পুকুরে ডাহুক পাখি শিকার করতে পছন্দ তার। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫০ বছর আগে তার দাদা মৃত ইদ্রিছ উল্যাহ ডাহুক শিকার করতেন। বংশ পরম্পরায় তার বাবা মৃত তকবির আলীও এ পেশা ধরে রাখেন। এখন তিনিও হাল ধরে আছেন বাপ-দাদার এ আদি পেশার।

ডাহুক শিকার নিয়ে তার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ফাঁদ বান্দিয়া(ফেলে) পাখি ধরাত (শিকার) করতে ঝুঁপ ঝাড়ে যাই। খাঁচা নিয়ে তিনি ডাহুক ঝুপে ছেড়ে দিলে ডাহুক তারমত করে ডাকতে থাকে। এসময় বনের অন্য ডাহুকরা তার স্ব-জাতির ডাকে ছুটে আসে পড়ে ফাঁদে। ফাদের জালে আটকা পড়ে বন্য ডাহুক। বাংলাদেশের চেনা-জানা শত প্রজাতির পাকির মধ্যে সিংহভাগ পাখি বৃক্ষের ডালপালায় উড়ে বেড়ায়। কিন্তু ঝুপঝাড় ও জলে নিরিবিলি যাদের বিচরণ সেটি হলো দেশের লাজুক ওই পাখি ডাহুক।
তিনি বলেন, এক যুগ ধরে তিনি গ্রামসহ রাজনগর উপজেলা সদরের গ্রামাঞ্চল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় শিকার করতে যান। প্রতিদিন ৩/৪টা ডাহুক তার ভাগ্যে জোটে। প্রতিটি ডাহুক দেড়শ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। কোনদিন শিকারে সফল না হয়ে খালি হাতে নিজের বাড়ি ফিরতে হয় তাকে। অল্প আয়ের এই পেশায় কিভাবে দিনপাত কাটে জানতে চাইলে
পাখি শিকারী উস্তার জানান, বাপ-দাদার পেশা ছাড়তাম(ছাড়তে) পারিনা। তার কাছে এখন এটি আর পেশা নয়, নেশায় পরিনত হয়েছে।
ডাহুক খুব ভীরু স্বভাবের একজাত পাখি। জলাভূমির আশপাশের ঝোঁপঝাড়ে লুকিয়ে থাকা এই পাখিটি মাঝারি সাইজের। লেজ ছোট। পা লম্বা। পায়ের আঙুলও বেশ লম্বা। পিঠের রঙ ধূসর থেকে খয়েরী-কালো, মাথা ও বুক সাদা। লেজের নীচের অংশে লালচে আভা। ঠোট হলুদ রঙের, ঠোটের উপরে লাল রঙের একটি ছোট্ট দাগ আছে। জল ও স্থল এদের আশ্রয়। পুকুর, খাল, জলাভূমি, বিল, পরিত্যক্ত পুকুরের লুকানো জায়গায় এরা স্ত্রী ডাহুকিদের নিয়ে বিচরণ করতে নিজেদের নিরাপদ মনে করে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT