ছাতক, সুনামগঞ্জ থেকে লিখেছেন চান মিয়া।। ছাতকে ৩২বছর থেকে ডিউটি না করেই বেতন-ভাতাসহ সরকারের সূযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন সড়ক ও জনপথ এর কর্মচারি সাজ্জাদ হোসেন মনির। এরসাথে তার বিরুদ্ধে রয়েছে সওজ এর ভূমি জবর-দখল করে দোকান নির্মান, বালু, পাথর ও গাছ চুরিসহ সরকারি সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ। এব্যাপারে ছাতক সওজ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. রমজান আলী বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, সড়ক উপ-বিভাগের অধীন রানীগঞ্জ ফেরিঘাটে কর্মরত ফেরি চালক আবুল বশরের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন মনির ১৯৮৫সালে ছাতক সওজ অফিসে ফেরি চালক হিসেবে যোগদান করে। এরপর রহস্যজনক কারনে দীর্ঘ ৩২বছর থেকে সে অফিস ফাঁকি দিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে। এছাড়া চাকুরি নেয়ার পর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে সওজ এর অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ভূমি লিজের নামে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এভাবে সওজ বিভাগের গাছ, ইট, পাথর, বালু ও পূরাতন মালামাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া শহরের লাফার্জ ঘাটে সওজ এর ভূমি জবর-দখল করে অবৈধভাবে ‘জাহিদ ষ্টোর’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানসহ একাধিক দোকান নির্মাণ করে স্থানীয় লোকজনের কাছে মাসোহারা ভিত্তিতে ভাড়া দিয়েছে। তার অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় গড়ে তোলা হয়েছে শহরের বাগবাড়ি এলাকায় আলীশান বাসাবাড়ি।
প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে সাজ্জাদ হোসেন মনির বীরদর্পে এসব অপকর্ম চালিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এখনও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অবশেষে ছাতক সওজ উপ-বিভাগের স্মারক নং ১৬, তাং ১৬.০৮.২০১৭ইং মূলে বালু, ইট, পাথর চুরি ও সরকারি ভূমির উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ছাতক থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সুহেল রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাতক সওজের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, সে সরকারের পুরাতন মালামালসহ ইট, পাথর, বালু ও মূল্যবান গাছ চুরির সাথে জড়িত রয়েছে। এখানে সে দীর্ঘদিন থেকে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সুনামগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, মনির নামের কর্মচারি দীর্ঘদিন থেকে কাজ না করেই বেতন নিচ্ছে বলে এর আগে কেউ তাদের নজরে আনেনি। অথচ এখন জানা গেল ছাতক সওজ এর অভ্যন্তরিন যাবতীয় অনিয়ম ও লুঠপাটের সাথে সে জড়িত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি আন্তরিক বলেও জানান।