1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দীনের আজ গেল জন্মদিন - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দীনের আজ গেল জন্মদিন

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ১০২১ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা প্রতিবেদন।। আজ মঙ্গলবার ২৭শে অক্টোবর, কিংবদন্তীর সুর সাধক, ভাওয়াইয়া সুরের সম্রাট আব্বাস উদ্দীনের ১১৯তম জন্মদিবস। ১৯০১ সালের এই দিনে বর্তমান ভারতের কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমা শহরে তার জন্ম হয়েছিল। তার বাবা জাফর আলী আহমদ ছিলেন তুফানগঞ্জ মহকুমা সদর আদালতের আইনজীবী। জননন্দিত বাংলা গান ও সুরের স্রষ্টা আব্বাস উদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রথম মুসলমান গায়ক যিনি গান রেকর্ড করে তার নাম ব্যবহার করেছিলেন। এর আগে যারাই ছিলেন মুসলমান শিল্পী তারা তাদের আসল নাম ব্যবহার করতেন না, ছদ্মনামে গান রেকর্ড করতেন।
ভারতীয় মুসলমান বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ‌ও নিম্নবিত্ত মুসলমানদের ঘরে সুর পৌঁছে দেয়ার তিনি ছিলেন একজন অগ্রপথিক ও সফল কারিগর। মুসলমানদের ঘরে ঘরে সুর পৌঁছে দিয়ে জীবনের পশ্চাৎপদতা থেকে বেরিয়ে আসতে আব্বাস উদ্দীন যে ভূমিকা রেখেছিলেন তা অনন্য এবং গবেষণার দাবী রাখে।
‘ইন্টারনেট’ ঘেঁটে পড়ে যতটুকু জানা যায় মরমী সুর সম্রাট শিল্পী আব্বাস উদ্দীন আরো অনেকের মতো তিনি নিজে মরহুম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ইসলামী সঙ্গীত রচনার অনুরোধ করেছিলেন এবং তিনি জাতীয় কবির অসংখ্য গান ও গীতে সুর দিয়ে গেয়েছেন।

আব্বাস উদ্দীন তার শিল্পী জীবনে বাংলা জননন্দিত গানের কোন শাখাই বাদ দেননি। যদিও ভাওয়াইয়া দিয়ে শুরু ছিল কিন্ত পরে তিনি জারি, সারি, মুর্শিদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালাগান, ভাটিয়ালি সহ অসংখ্য গান গেয়েছেন ও সুর দিয়েছেন।
তিনি ছিলেন সুর প্রতিভার দীপ্তি নিয়ে জন্ম নেয়া মানুষ। নিজে থেকেই অধ্যবসায়ের ফলে গড়ে তুলেছিলেন নিজেকে। বাল্যে বা কৈশোরে কোন সুর সাধক বা ওস্তাদের কাছে তিনি যান নি। যৌবনে ওস্তাদ জমির উদ্দীন খাঁ’র কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিখেছিলেন।
প্রকৃতিদত্ত তার সুরেলা কন্ঠ কোন কোন বিশেষ দিক বিবেচনায় আজও অদ্বিতীয়। ১৯৩১ থেকে ১৯৪৭ দীর্ঘ এ ১৬ বছরের কলকাতা জীবনে তিনি সরকারী চাকরীও করেছেন। ১৯৪৭সালে দেশ ভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং সরকারের প্রচার দপ্তরে ‘অতিরিক্ত সঙ্গীত সংগঠক’ হিসেবে চাকুরীতে যোগ দেন।
যার হৃদয় জুড়ে থাকে সুর আর সঙ্গীত তিনিইতো সত্যিকারের শিল্পী। আব্বাস উদ্দীন সেই জন্মগত শিল্পী মানুষ ছিলেন। তাইতো তাকে অভিনয় করতেও দেখা যায়। তিনি ৪টি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। এসব সিনেমাতে তিনি গানও করেছিলেন। উইকিপিডিয়া লিখেছে, তখনকার দিনে মুসলমান ব্যক্তির সিনেমা করা ছিল একটা ব্যতিক্রম ঘটনা। তাই হয়ত ‘বিষ্ণুমায়া’ ছবিতে অভিনয়ের পরও এর ভূমিকা লিপিতে আব্বাস উদ্দিনের নাম ছিল না আর এ তথ্য সংগৃহীত হয়েছিল অপর যুগস্রষ্টা মহান অভিনয় শিল্পী কানন দেবীর কাছ থেকে।
আব্বাস উদ্দীন পুরস্কৃতও হয়েছেন বহুবার। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ তাকে মরনোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে অভিষিক্ত করে।

‘উইকিপিডিয়া’ আব্বাস উদ্দীনের জন্ম তারিখ শুরুতে লিখেছে ২৭ অক্টোবর আবার তার ছবির নিচে দিয়েছে ১৭ অক্টোবর। আরো লিখেছে, কুচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বলরামপুর গ্রামে তার জন্ম কিন্তু এই উইকিপিডিয়াই লিখেছে বলরামপুর হাওড়া জেলার একটি শহর। এটি হতে পারে আগে গ্রাম ছিল বর্তমানে শহর হিসেবে গড়ে উঠেছে। কিন্তু বলরামপুর কুচবিহার জেলার কোন শহর বা গ্রাম কোনটাই নয়। ইচ্ছেকৃত না হলেও এমন ভুল থাকা বাঞ্চনীয় নয়। – সংগ্রহ ও নিবন্ধীকরণে হারুনূর রশীদ

জন্ম শিল্পী আব্বাস উদ্দীন। ছবি: উইকিপিডিয়া বাঁ থেকে আব্বাসউদ্দীন, সুর স্রষ্টা আলাউদ্দীন খাঁ ও মোতাহার হোসেন।
এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT