1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
পার্লামেন্ট স্থগিত রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ, রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ বৃটিশ আদালত - মুক্তকথা
রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

পার্লামেন্ট স্থগিত রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ, রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ বৃটিশ আদালত

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ১৮৫৩ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বরিস জনসন ক্ষমতায় আসার আগ থেকেই বর্তমান ক্ষমতাশীন রক্ষনশীল দল(টোরিপার্টি) এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীগন বার বার হোচট খেয়েই যাচ্ছেন রাজনীতিতে। ২০১৬সালে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে থাকা ও না থাকাকে নিয়ে দিয়ে ছিলেন গণভোট। তার নির্বাচনে তিনি মানুষকে এই গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন মানুষ থাকার পক্ষে ভোট দেবে। কিন্তু সেই ভোট থেকেই রক্ষনশীলদের হোচট খাওয়ার শুরু।
নির্বাচনে হেরে গিয়ে ডেভিড ক্যামেরুনকে বিদেয় হতে হয়। এর পর দল থেকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়ে আসেন তেরেসা মে। তিনিও তিন তিন বার সংসদে হেরে গিয়ে অবশেষে বিদায় নেন। তার বিদায়ের পরই আগমন ঘটে বরিস জনসনের। পার্লামেন্ট স্থগিত রেখে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পথ বেঁচে নেন। কিন্তু এখানেও তিনি হোচট খেলেন। বৃটেনের সর্বোচ্চ আদালত, তার এই পার্লামেন্ট স্থগিত রাখাকে অবৈধ ঘোষাণা দিয়েছে আজ মঙ্গলবার ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৯সাল। সর্বোচ্চ আদালতের ১১জন বিচারক দু’টি আপীলের উপর শুনানী কাজ চালানোর পর এই রায় দেন।

বৃটেনের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বরিস জনসনের সংসদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা দেয়ার পর শ্রমিক দল তার পদত্যাগ দাবী করেছে। শ্রমিক দলের নেতা জেরেমী করবিন ও লণ্ডন মেয়র সাদেক খানসহ আরো বহু প্রভাবশালী জনপ্রিয় রাজনীতিক জনসনের পদত্যাগ দাবী করেছেন। এমনও বলা হচ্ছে যে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্য নন।  সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোড়ালো আহ্বান জানানো হয়েছে এবং হচ্ছে।

ব্রেক্সিট বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী কেমডেনের এমপি কিয়ার স্টারমার বলেছেন, আদালতের এমন শক্তিশালী রায় এটাই প্রমাণ করে যে, বরিস জনসন আইনের কোন পরওয়াই করেন না। খুব তারাতারিই  আমরা  উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাকে মোকাবেলা করবো এবং পরাজিতও করবো। 

সংসদের স্পীকার জন বরকাউ বিলম্ব না করে সংসদীয় কার্যক্রম শুরু করার উল্লেখ করেছেন এবং তিনি আজই মঙ্গলবার ২৪শে সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
বর্তমানে আমেরিকায় জাতিসংঘের অধিবেশনে থাকা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সবসময়ই। সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে তিনি মেনে নিয়েছেন তবে দৃঢ়ভাবে তিনি রায়ের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেনও বলেছেন। আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পাদনের প্রত্যয়ও তিনি ব্যক্ত করেছেন।

এই ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে(ব্রেক্সিট) বৃটিশ রাজনীতিতে এক ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ের সূচনা হয়েছে। কেউ কেউ যদিও এ অনুশীলনকে নাটকীয়তা বলে উপহাস করছেন কিন্তু আসলে এখানে কোন নাটকীয়তা ঘটছে না। মূলত: চলমান বৃটিশ ধনতান্ত্রিক রাজনীতি গণতন্ত্রের প্রশ্নে কতটুকু ছাড় দিতে পারে তার এক কঠিণ পরীক্ষা চলছে। সরকার ও বিরুধী উভয় পক্ষই সবকিছু বুঝে শুনেই হাটছেন। উভয় পক্ষই তাদের নীতির প্রশ্নে অটল। এখানে কেউ ছাড় দিতে রাজী নয়। এটি একটি জটিল প্রশ্ন। গনকের মত এতো আগাম বলে দেয়ার বা বুঝার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কোন দলেই কারো নেই। কোন দলই সঠিকভাবে বলতে পারছেন না, থাকা না থাকার মধ্যে বৃটেনের জন্য কোন পথ বেঁচে নেয়া। কর্মজীবী মানুষের নামে শ্রমিক দলসহ আরো কিছু দল বক্তব্য রাখছেন। এসব কোন দলই প্রচ্ছন্নভাবে কি কি কারণে থাকা ভাল তার কোন লিখিত তথ্য জনসমক্ষে এখনও নির্ভুলভাবে পেশ করেননি। তবে তারা তাদের দলীয় নীতির পক্ষ থেকেই দৃঢ়ভাবে কথা বলে যাচ্ছেন।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে সরকার ও বিরুধী এ দু’পক্ষ কোনভাবেই একমত হতে পারছেন না। এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে উভয় পক্ষ দেশ ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে মাঝামাঝি একটি অবস্থানে আসতে পারছেননা। এমন অবস্থায় কোন গণভোট নয় বরং সাধারণ নির্বাচনই একমাত্র উপযুক্ত পথ। সম্ভবতঃ আমাদের সামনে একটি আগাম নির্বাচন অপেক্ষা করছে।
হারুনূর রশীদ, লণ্ডন, ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৯

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT