মুক্তকথা সাহিত্য।। “ভয়েস অব মৌলভীবাজার”এর একজন বিদগ্ধ পাঠক বা সহযোগীর উক্তি। তার কথা মালায় কেমন যেনো এক মায়ার আবেশ রয়েছে। রয়েছে কেমন এক তীর্যক বাক্যবান! তার সমাজদর্শন নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। তাই আমরা তার সেই অনুভুতিগুলোর শাব্দিক প্রকাশকে এখানে পুনঃরায় তুলে দিলাম।
“শহরের দেয়ালে দেয়ালে লেখা “অমুকের রক্তমাখা সার্ট আমাদের আদর্শের প্রতীক।, তমুকের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করো, করতে হবে”। প্রতিশোধের দ্বাবানলে জ্বলে জ্বলে বেড়ে উঠা প্রজন্ম আমরা, শিক্ষা ঐক্য প্রগতির শ্লোগানে শান্তি খু্ঁজে বড় হয়েছি। অনৈক্য কিছুটা থাকলেও সারাদেশে সম্প্রীতির সংস্কৃতিতে মৌলভীবাজারের আলাদা একটা ইমেজ সর্বজন স্বীকৃত। আমি ভয়েস না দিলেও চেষ্টা করি আপনাদের দেয়া ভয়েস শুনার। অনেকের কথাবার্তা শুনি ভাল লাগে। স্পষ্ট চিন্তাভাবনা প্রকাশে আপনাদের মতামতকে-অবদানকে সন্মান শ্রদ্ধা জানাই।
নামটাকে কেমনে বড় করা যায় সে চেষ্টা অনেকের মতো আমারও ছিল, এখনো আছে। তবে কাজ করতে না পারলে, সুযোগ না পেলে নামটা বড় করা যায় না। কৃতজ্ঞতা জানাতে এ লেখা, উপলব্ধিটা শেয়ার করতে এ লেখা, আপনাদের কাজকে উৎসাহ দিতে এ লেখা। এ লেখা কারো ক্ষতি করবে না বলে বিশ্বাস করি। তবুত্ত কোন শব্দ বা বাক্যে অনুভূতিতে আঘাত দিলে দুঃখিত।
চা বাগানের জন্য বিখ্যাত মৌলভীবাজার। শুনেছি চা শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ১০২ টাকার কম রোজ দেয়া যাবেনা বলে সরকারী রেট ধার্য হয়েছে। সাধারণ শ্রমিকরা তিনহাজার টাকার মতো মাসে বেতন পাবে। একজন সরকারী প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন ত্রিশ হাজার টাকার বেশি। বেতন বৈষম্যে আমরা কিছু করতে পারব না তবে চা শ্রমিকের শিশু কিশোরদের শিক্ষায় আমরা চাইলেই অবদান রাখতে পারব। “বর্ণকুড়ি পাঠশালা” নাম দিয়ে মৌলভীবাজারের সূর্যদাস তপন দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকদের সন্তানের অক্ষরজ্ঞান দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আলোকিত জীবনদানের এ প্রচেষ্টাকে আমরা সন্মান জানিয়ে ভয়েস অফ মৌলভীবাজারের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।
কমসময়ের কথা-বার্তায় সবকথা স্পষ্ট করে বলতে পারা যায়না বলেই অনেকই লিখি। আরেকটা কারণ সবাই বক্তব্য না শুনলেও লেখা চোঁখ এড়ায় না কারো। তাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি লিখে ভাব প্রকাশে।”