স্থানীয়দের মতে, ট্রেনের বগিতে আগুন নিয়েও ট্রেন চলতে দেখা গিয়েছিল। বাহিরের লোকজন চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি। এক পর্যায়ে বগিতে আগুনের দেখা পেয়ে ট্রেন দ্রুত দাঁড় করানোর কারণে অসংখ্য প্রাণহানি থেকে রক্ষা পায় পারাবত এক্সপ্রেসটি।
আগুন লাগার কারণ হিসাবে আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেসের পরিচালক মো. ইসমাইল সেসময় জানিয়েছিলেন, রেলগাড়ীর বিদ্যুৎ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। রেলগাড়ী থামানোর পর দেখা গিয়েছিল চাকার মধ্যে আগুন ও পরে তেলের পাত্রতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। সৌভাগ্যের বিষয় ছিল যে কোন হতাহতের ঘটনা সেদিন ঘটেনি। বেঁচে গিয়েছিল অগুনতি মানুষের জীবন।
কুলাউড়া রেলওয়ের নিরাপত্তাবাহিনীর উপ-পরিদর্শক জানে আলম তখন বলেছিলেন এটি দুর্ঘটনা। নাশকতার কোন সম্ভাবনা তারা প্রাথমিকভাবে দেখছেন না।
এরপর মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হককে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি ও রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা অজয় কুমার পোদ্দারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট, রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী ২ মো. সিরাজ জিন্নাহকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত টিমসহ পৃথক পৃথক মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। কথা ছিল ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার। কিন্তু আজ অবদি সে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছিল কি-না আমাদের জানার সুযোগ হয়নি।
৬মাস পর আজ বাংলাদেশ যখন ‘মেট্রোরেল’এর যুগে পা দিয়েছে তখন দূর্ঘটনাকবলিত ওই এলাকার মানুষজন ভয়াবহ সেদিনটির কথার স্মরণে আজও ভয়ে আৎকে উঠেন।
|