আজ বুধবার(১ নভেম্বর) “বিজ্ঞান হোক আনন্দের উৎস, বিজ্ঞান হোক সবার” এই বিষয়কে সামনে রেখে দিন ব্যাপী আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।’বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এই বিজ্ঞান মেলা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় প্রায় ৬০টি প্রকল্প উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিবাকদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল মিলনায়তন। লক্ষণীয় বিষয় ছিল বাচ্চারা স্বল্প সময়ের নোটিশে তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে যে প্রকল্প উপস্থাপন করেছে যার অনেকগুলোই বাস্তব সম্মত, সময়োপযোগী এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে সমন্বয়সাধনে উপযোগী। তারা উৎসাহ, সুযোগ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে আরো ভালো কিছু আবিষ্কার করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে বলে উপস্থিত অনেকের অভিমত।
বিজ্ঞান মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন অধ্যক্ষ মো: জাহাঙ্গীর আলম। বিজ্ঞান মেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক মোহিত রঞ্জন দাশ।
শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে অভিবাবক, শুভানুধ্যায়ীদের পাশাপাশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন বোর্ড অব গভর্নরস এর সম্মানিত সদস্য কে কে সাদেক এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্য মো: নূর নবী। সবশেষে শ্রেষ্ট প্রকল্পের বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিগন।
মেলায় প্রদর্শিত প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল উইন্ড মিলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ত্রিমুখী এলার্ম, নিউক্লিয়ার, অবস্টাকল এভয়েডিং রবোট, দূর্ঘটনা প্রতিরোধক সেন্সর, ভূমিকম্প এলার্ম, এসিড বৃষ্টি, ডিজিটাল শহর, লেজার হাউস সিকিউরিটি সিস্টেম, অটোমেটিক স্ট্রিট লাইট, অল দ্য থিংস এবাউট এয়ারপ্ল্যান, ভূমিকম্প প্রতিরোধক বিল্ডিং, নবায়নযোগ্য উৎসের পার্ক, স্মার্ট সিটি ও পরিচ্ছন্ন সিটি।
বিচারক প্যানেলের চূড়ান্ত রায়ে সেরা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়, ‘ক’ গ্রুপে ১ম উইন্ড মিলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন(বিরুপাক্ষ দেবনাথ, সৌম্যদ্বীপ সিং, আউসাফ ইকবাল, পার্থজিৎ রাজকুমার, সবার্থ দেব সায়ন), ২য় ত্রিমুখী এলার্ম(পার্থজিৎ কুমার), ৩য় অবস্টাকল এভয়েডিং রবোট(অথৈ রায়)।
‘খ’ গ্রুপে ১ম ডিস্ট্রিক্ট লেভেল ও ভূমিকম্প এলার্ম(ঐশী বারই, শ্রেয়সী পাল, অন্বেষা বারই), ২য় পরিচ্ছন্ন সিটি(আহমেদ রেজা সিয়াম, শিকদার ফারহাল ওয়াদী, তাসনিম কামাল আদিব ও শুভজিৎ রায়) এবং ৩য় নিউক্লিয়ার(তানিম চৌধুরী, তাইফুল ইসলাম তরু, মুনতাসির আলী ইয়ান ও আদিয়ান হোসেন)।
‘গ গ্রুপে ১ম লেজার হাউস সিকিউরিটি সিস্টেম এবং অটোমেটিক স্ট্রিট লাইট(তাবাসসুম রফিক, নিশাত জারিন ও সামিয়া খানম), ২য় ডিজিটাল শহর (জাবের হোসেন, সৌরজ্যোতি ধর ও তামজিদুল ইসলাম) এবং ৩য় ভূমিকম্প প্রতিরোধক বিল্ডিং(সাবিত্রি রায় রুদ্রা, মিফতাউল জান্নাত মীম ও আদ্রিতা দে)।
বিএনসিসি, স্কাউট ও গার্লস গাইডের ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক শুরু থেকে স্টলের সাজসজ্জা, শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।
শিক্ষকদের মধ্যে ব্যবস্থাপনার দায়ীত্বে ছিলেন- প্রভাষক কাজী যোবাইনা আক্তার, মোঃ আশরাফুল আলম, দীপ্তা চৌধুরী, সেলিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক ব্রজেন্দ্র কুমার সিংহ, রেখা রাণী বড়াল, চন্দন কৈরী, উম্মে ফাতেমা, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মাধব কুমার পাল, স্বপ্না ঘোষ, ফারহানা নাজনীন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দ্বায়িত্বে ছিলেন নজরুল ইসলাম, আল্পনা সেন, সুকুমার চক্রবর্তী, নাজনীন বেগম কামালী, অনুর পাল, বিপ্লব রঞ্জন পাল, মোঃ নুরুজ্জামান, সুজিত চন্দ্র পাল, মাহমুদুল হাসান, সিরাজুন নেহার চৌধুরী, সুমনা পুরকায়স্থ, মিতু রানী দাশ, আমি বেগম, সুরঞ্জিত বার্মা, অপু দেব, বিপ্লব রঞ্জন পাল, আহমেদুর রহমান, রঞ্জন কায়েছ।