মেঘালয়ের তুরা সেক্টরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘএকটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
একটি পাহাড়ের ঢালে এই সুড়ঙ্গের খোঁজ পায় তারা। ঘন জঙ্গল আবৃতি জায়গাটির নাম গুজংপাড়া। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ভেতরে গিয়ে দেখা যায় যে সুড়ঙ্গটি কাঁটাতারের বেড়ার দিকেই এগিয়েছে প্রায় ৬০ ফুট মতো।
সুড়ঙ্গটি সবেমাত্র কাটা হচ্ছিল, তার মাটি এখনও আলগা রয়েছে। এর আগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এ ধরণের সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেলেও পূর্বাঞ্চলে এই ঘটনা প্রথম।
বাংলাদেশের দিকে নেমে যাওয়া একটা পাহাড়ের ঢালে সুড়ঙ্গ মুখটি পাওয়া যায়। বিএসএফ-এর মেঘালয় সীমান্ত অঞ্চলের আইজিপি. কে. দুবে বিবিসিকে জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটি প্রায় ৫০-৬০ ফিট পর্যন্ত কাটা হয়েছে।
মাটিও আলগা রয়েছে – অর্থাৎ সপ্তাহখানেকের মধ্যে এটি কাটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে সীমান্তের কাঁটাতারের তলা দিয়ে বাংলাদেশ অবধি পৌঁছতে হলে আরও প্রায় ৫০ ফুট মতো কাটতে হতো।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চোরাচালান বা মানব পাচারের জন্য সুড়ঙ্গ আগেও পাওয়া গেছে। সেখান দিয়ে উগ্রপন্থীরা ভারতে প্রবেশ করে, সেরকম ঘটনাও ঘটেছে।
কিন্তু পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনা একেবারেই নতুন, যেটা বিএসএফকে যথেষ্ট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। কী কারণে সীমান্তের কাছে সুড়ঙ্গ কাটা হচ্ছিল তা নিয়ে বিএসএফ তদন্ত শুরু করেছে। বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন সুড়ঙ্গটি খতিয়ে দেখতে।
আইজিপি দুবে যেটা জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গটি গরু বা মানুষ পাচার – দুটো কাজেই ব্যবহার করার জন্য কাটা হচ্ছিল বলেই তাদের মনে হচ্ছে।
কিন্তু বিএসএফের কয়েকটি সূত্র বলছে, সুড়ঙ্গটা মাত্র তিন ফুট মতো চওড়া- তা দিয়ে গরু পাচার কার্যত অসম্ভব। হামাগুড়ি দিয়ে মানুষ ঢুকতে পারে বড়জোর। আর ওই এলাকায় যেহেতু জঙ্গীগোষ্ঠীগুলি সক্রিয়, তারাও নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই সুড়ঙ্গ কাটছিল- এমনটাও হতে পারে বলে সূত্রগুলি জানাচ্ছে।
তারা বলছেন, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার কর্ণঝোড়ায় বিজিবির সীমান্ত চৌকি আছে। সেখানে অবস্থানরত ২৭ নম্বর বিজিবি ব্যাটালিয়নকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। (এইবেলাডটকম থেকে)