৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাবিগত ২১ জুলাই শওকত হোসেন আহমদ তার ফেইচ বুকে মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে প্রকাশিত খবর বিষয়ে নিচের মন্তব্য করেন। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এবং টি ভি চ্যানেলের সঞ্চালক আমার স্নেহাস্পদ মোস্তফা ফিরোজ এর প্রতিবেদনে অপরিপক্ক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে যে তথ্যটি প্রকাশ পেলো এতে আমি সহ দেশবাসী হতবাক। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বছরে টাকা দেয়া হয় ২লাখ ৭০ হাজার। যা এদেশের জনগনের টাকা। মাসে ২০ হাজার ও দুই ঈদ সহ বাংলা নব বর্ষের জন্য ১০ হাজার করে ৩০হাজার। ৭১এ যাদের বয়স ৮, ১০, ১২ বছর তারাও মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পেয়ে এই সুযোগ সুবিধা নিয়ে দাম্ভিকতার সাথে চললেও নৈতিকতার দিক থেকে তারা দুর্বল, যা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছি। এটা জাতির জন্য কাম্য নয়, হাস্যস্করও বটে। প্রকৃত মুক্তি অসমাপ্ত। প্রকৃত মুক্তির জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন বর্তমান প্রেক্ষাপট তথা ৫০ বছরের শাষণকালের চাল চিত্র দেখে সার্টিফিকেট পাওয়া না পাওয়াকে নিয়ে তেমন একটা ভাবনা নেই অনেকের। এই লোভে মোহে ৬৯ থেকে ৭১ পর্যন্ত যে ভুমিকা ছিলো তার পুরো প্রামান্য তথ্যাদি হাজির করলে সনদভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এই সুবিধাটা আমি নিতে পারতাম। কিন্তু না, প্রকৃত মুক্তিই যখন আসেনি তখন ভৌগলিক স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি সেই মুক্তির জন্যই কাজ করছি, করে যাচ্ছি, এটাই আমার আদর্শিক গর্ব ও অহংকার। একটা দেশ পরিচালনায় যারা কর্নধার তারাই যদি বিকৃত হয় তাহলে এর ভবিষ্যত কি? আর আমাদের নৈতিক দায়িত্বটাই বা কি তা গভীর ভাবে ভেবে দেখার এখনই সময়।খোদ অর্থমন্ত্রী আ,হ,ম,মুস্তফা কামাল সার্টিফিকেট পাওয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠলে যাচাই বাঁচাই এ তা বাতিল হয়ে যান। প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ,ম,রেজাউল করিমও এরকম। উনিও সার্টিফিকেট পেয়েছেন। আশ্চর্য্যের বিষয় ৭১ এ ওনার বয়স ১০ বছরেরও কম। জন্ম ১৯৬২ এর ১৮ই ফেব্রুঃ। জামু কাউন্সিলের ৭৫তম বৈঠকে এ তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। পরিশেষে এটাই বলবো, ঘৃনা এবং ভালবাসা মনের এক জায়গা হতেই আসে বিধায় প্রকৃত মুক্তির জন্য প্রকৃত আদর্শবাদী মুক্তিযোদ্ধা হতে সব দ্বিধাদন্দ্ব ভুলে গিয়ে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দলমত নির্বিশেষে সময় নষ্ট না করে আমাদের সবাইকে তৈরি হতে হবে। |