1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
যে হারে শব্দদূষণ চলছে এতে করে অচিরেই এখানে বধির হাসপাতাল দিতে হবে - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

যে হারে শব্দদূষণ চলছে এতে করে অচিরেই এখানে বধির হাসপাতাল দিতে হবে

এস. এম. সাইফুল॥
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২ মার্চ, ২০২১
  • ৪৬৫ পড়া হয়েছে

জুড়ী, মৌলভীবাজার॥ ভয়াবহ শব্দ দূষণে মৌলভীবাজারের জুড়ীবাসী অতিষ্ঠ। এধরনের শব্দ দূষণে জুড়ীবাসীকে ক্রমশঃ বধিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শব্দের তীব্রতায় মানুষের নাক, কান ও গলায় নানা রকম জটিল উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একই কারণে মানুষের আচরণে রুক্ষতা ও মেজাজে ভারসাম্যহীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত দেড় যুগের ব্যবধাণে জুড়ীর শব্দ দূষণ বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। শব্দ দূষণ রোধে আইন থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আইনের প্রয়োগের ব্যাপারে উদাসীন। যান বাহনের তীব্র হর্ণ, জেনারেটরের কর্কশ ধ্বনি, ভবণ নির্মাণের খট খট শব্দ, সিডি, ভিসিডি ও ক্যাসেটের দোকান থেকে ভেসে আসা সুর-ধ্বনি নাগরিক জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসেব অনুযায়ী শব্দের স্বাভাবিক সহনীয় মাত্রা হচ্ছে ৪৫ ডেসিবল।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, জুড়ীতে যেসব গাড়ী বা যানবাহন চলাচল করে এদের হর্ণ ১২০ থেকে ১৮০ ডেসিবলের উপরে। এ শব্দ দূষণ উপজেলাবাসীর জন্য এখন এক ভয়াবহ পরিবেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ’ নামের একটি এনজিও সংস্থার গবেষনায় জানা গেছে, জুড়ী শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় শব্দ দূষণ এখন ভয়াবহ মাত্রায়। গবেষনার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত নিরব এলাকা হিসেবে পরিচিত। এসব স্থানে মোটর গাড়ীর হর্ণ বাজানো এবং মাইকিং করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
এসব এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা দিনে ৪৫ ডেসিবল এবং রাতে ৩৫ ডেসিবল। সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একাধিক বিশেজ্ঞ ডাক্তার জানান, শব্দ দূষণ এখন সর্বত্রই ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। এর শিকার হচ্ছে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। শব্দ দূষণ মানুষের স্নায়ুগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। ক্রমাগত শব্দ দূষণের ফলে কানের টিস্যুগুলো আস্তে আস্তে বিকল হয়ে পড়ে। তখন মানুষ আর স্বাভাবিক শব্দ কানে শুনতে পারেনা। কানের মধ্যে সব সময় এক ধরণের অস্বাভাবিক শব্দ হতে থাকে। ডাক্তারি ভাষায়, এটাকে টিনিটাস বলে। কানের যন্ত্র ব্যবহার করেও সে ভালো শুনতে পারেনা। প্রকৃত কথা হচ্ছে “শব্দ” দূষণ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করছে আমাদের শিশুদের। তারা এসব কর্মকান্ডে মানসিকভাবে ভীত হয়ে পড়ছে। এতে করে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে মনোসংযোগের মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা লেখা-পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মতে সারা দুনিয়ার প্রায় ৫.০ শতাংশ মানুষ শব্দদুষণের দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। শব্দ বা আওয়াজের মাত্রা ৬৫ ডেসিবল হলে মানুষের হৃদরোগ হতেই পারে। শব্দের মাত্রা ৯০ ডেসিবলের উপরে গেলে আলসার রোগ হতে পারে। সাথে সাথে কানে শুনার সমস্যা এমনকি শরীরের স্নায়ূ পদ্বতিকে বদলে দেয়। মাত্র ১২০ হলে কানের বেদনা লেগেই থাকে ফলে কানে শোনা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে ২০০৬ সালে জারী হওয়া শব্দ দূষণ আইনে বলা আছে যে দেশের নীরব এলাকায় দিনে শব্দের গ্রহনযোগ্য মাত্রা হবে ৫০ ডেসিবল এবং রাতে ৪০ ডেসিবল। আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ ডেসিবল এবং ৪৫ ডেসিবল রাতে। নীরব ও আবাসিক উভয়ের মিলিত এলাকায় দিনে ৬০ ডেসিবল এবং রাতে ৫০ ডেসিবল। ব্যবসা এলাকায় দিনে ৭০ ডেসিবল এবং রাতে ৬০ ডেসিবল। শিল্পাঞ্চলে দিনে ৭৫ ডেসিবল এবং রাতে ৭৫ ডেসিবল গ্রহনযোগ্য মাত্রা। অথচ জুড়ির মত একটি উপজেলা শহরে শব্দমাত্রা অবিশ্বাস্যভাবে ১২০ থেকে ১৮০ ডেসিবেলেরও উপরে থাকে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT