1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
রোহিঙ্গা আর আরাকান - মুক্তকথা
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জের জীবন বৈচিত্র বিষয়- ‘মানসম্পন্ন চা রপ্তানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ হাকালুকি হাওরে বৃক্ষ রোপন করে প্রশংসিত এলাইছ মিয়া জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এককালীন উপবৃত্তির টাকা বিতরণ ও ৩মাদক ব্যবসায়ী আটক জেলাপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকারী মহাবিদ্যালয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত চায়ের উন্নয়ন শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে, নানা আয়োজনে জাতীয় চা দিবস পালিত সিলেটে দু’দিন ব্যাপী বিভাগীয় সাহিত্য মেলার উদ্বোধন প্রথম ‘জাতীয় চা পুরস্কার-২০২৩’ আয়োজিত হচ্ছে শ্রীমঙ্গলে নিউইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে নাহিয়ানের বিবিএ ডিগ্রী অর্জন গরীব এবং প্রতিবন্ধীদের রিক্সা ও হুইল চেয়ার দান এবং বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন

রোহিঙ্গা আর আরাকান

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ৫১২ পড়া হয়েছে

1-25d5e79c45over-22-500-hit-by-violenceহারুনূর রশীদ।।
লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ২২শে অগ্রহায়ণ ১৪২৩।।
 সারা বিশ্ব বিশেষ করে আরব দুনিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে তার দাঙ্গাহাঙ্গামাপূর্ণ অশান্ত অবস্থার জন্য খুবই পরিচিত ছিল আরাকান হিসেবেই। এই আরাকান রাজ্য, ভারত এবং দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার মধ্যে ধর্ম ও সংস্কৃতির আদান প্রদানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অতীতের এক সময়। বিগত হাজার বছর ধরে বর্তমানের “মায়ানমার ইউনিয়ন” (প্রাক্তন বর্মা)’র এই “রাখাইন” রাজ্য একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে দুনিয়ায় সুপরিচিত ছিল। বঙ্গোপসাগর তীর থেকে সারাটা নাফ নদী বেয়ে, যা বাংলাদেশ থেকে পৃথক করেছে আর নিচের দিকে দক্ষিন বার্মার “কেপ নেগরেইস” পর্যন্ত সরু লম্বা ভূখন্ড আরাকান ইউমা (রেঞ্জ) পাহাড়ের পশ্চিম পর্যন্ত এলাকা হল এই রাজ্যের সীমানা।

সড়ক ও সাগর পথে এই রাজ্যকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করেছে পশ্চিম দিকে আর বার্মা মূল ভূখন্ডের সাথে পূর্ব দিকে। যে রাস্তা ধরে মানুষের সাথে ধর্ম ও সংস্কৃতিও প্রবেশ করেছে। কালের যাত্রার পথে কোন কোন সময় যখন তার আশপাশের প্রতিবেশীরা দূর্বল ছিলেন তখন এই আরাকান তার প্রভাব বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়েছিল পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণে। তার পর সময় বদলাতে থাকে। আরাকান ধীরে ধীরে তার সকল জৌলুস হারায়। শক্তিশালী আগ্রাসী 3-2a0432c4adপ্রতিবেশীরা আরাকানীদের উত্তরে তাদের মূলভূমিতে তাড়িয়ে তুলে। কোন কোন সময় অনেকেই তাদের জয় করে নেয়ারও চেষ্টা যে করেনি তা নয়। আরাকান রাজ্যের মূল ভূখন্ড হল উত্তরের কালাদান ও লি-ম্র উপত্যকা সংলগ্ন বণ্যা বিধৌত সমতল ভূমি। প্রাচীন শহরগুলি ছিল এই কালাদান উপত্যকায় পেছনে পাহাড় বেষ্টিত পশ্চিমে মুখ দিয়ে। ফলে ভারত ও বহির্বিশ্বের প্রভাব উন্মোক্ত ছিল।

সেই প্রাচীনকাল থেকে আজকের এই আরাকান শাসিত হয়ে আসছিল রাজা-বাদশাহ দের দ্বারা, যারা ভারতীয় পদ পদবী ও প্রথা-ভাবধারা নিজেদের মধ্যে আয়ত্ব করে নেন। ভারতীয় ব্রাহ্মণগন রাজকীয় উৎসবাদিতে পৌরহিত্য করতেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুগন তাদের ধর্মমত প্রচার করেছেন, ব্যবসায়ীরা এসেছে গিয়েছে, শিল্পী প্রকৌশলীরা উৎসাহ উদ্দীপনায় ভারতীয় নমুনা ব্যবহার করেছিল অবাধে। শেষ দিকে, দিল্লী ও বাংলার ইসলামী প্রভাবও প্রভাবিত করেছিল আরাকানীদের।

বিকাশের চড়াই-উৎরাইয়ে আরাকান জেগেছে আবার হারিয়েও গেছে দুনিয়ার মানুষের কাছে থেকে। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর ভূগোলবিদ টলেমী’ এই আরাকানকে জানতেন রূপার দেশ বা “আরগিরে” নামে। বাংলার ‘আ-লি-কি-ল’ বা ‘হারিকেল’ নামের এলাকাসহ এই আরাকানকে জানতো সপ্তম শতাব্দীর চৈনিক বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরাও। ১২ থেকে ১৫ শতাব্দীর বার্মীজ পেগান ও আভা কাগজপত্রে এই আরাকানকে “রাখাইং” বলে উল্লেখ করেছে। পঞ্চদশ শতাব্দীর পর্তুগীজ অভিযাত্রীগন ডাকতো “রাখানি” এবং “আরাকান” বলে। তাদেরই অনুসরণ করে ইংরেজ ও ওলন্দাজরাও “আরাকান” বলে লিখেছে। লিখিতভাবে “আরাকান” স্বীকৃত হয়ে আসছে ১৮শতক থেকে।

4-7f7667ab2f১৮২৬ সালে ইংরেজ কর্তৃক আরাকানকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার পর, শাসকবর্গের বিদ্যান ও পন্ডিত ব্যক্তিগন এগিয়ে আসেন এই আরাকানিদের প্রাচীন মূলধারার সন্ধান করার কাজে। এই পথ ধরে ১৮৮৯ সালে পালি ভাষা বিশেষজ্ঞ সুইজারল্যান্ডের ডঃ এমিল ফর্চহেমারকে ভারত সরকার নিয়োগ দেয়, পুরনো শহর ও প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ ও সৌধগুলো  জরিপ করে বিবরণ নথিভুক্ত করার জন্য। তার বিশদ বিবরণ আজও অদ্বিতীয় হয়েই আছে। পরে প্রত্নতত্ত্ববিদগন খুঁজে পান কেন্দ্রিয় বার্মায় ‘পেগান’ স্মৃতিভূমি, যা ওই প্রান্তিয় এবং ম্যালেরিয়া অধ্যুষিত আরাকানের চেয়ে অধিক আকর্ষনীয় ও গ্রহনযোগ্য। যদিও ১৯২০ সালে পালি ভাষার ব্যাকরণ লেখক চার্লস দেউরাস্কেলি এই সৌধ এলাকা ঘুরে যান। ১৯৪০ সালে খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ ইউ লু পে উইল ও ওই সৌধ এলাকা দেখে যান। তবে এই স্মৃতি সৌধ এলাকা সব সময়ই আরাকানি পন্ডিতদের আকৃষ্ট করে বেশী। বিশেষ করে ‘ইউ সান স্যে বু’ যিনি ইংরেজ সহকর্মিদের সাথে কাজ করেন আরাকানি ইতিহাস লেখার কাজে।

ব্রহ্মদেশের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কর্মরত আরাকানিদের মাঝে এ বিষয়ে আগ্রহের পুনঃরুত্থানে ১৯৭০ সালে আবারও গবেষণার কাজ হাতে নেয়া হয় এবং এ দায়ীত্বে ছিলেন স্থাপত্য বিদ্যার অধ্যাপক ‘উ মিও মিন্থ সেইন’। (আগামী সংখ্যায় শেষ)
(আরাকানি নিউজ এজেন্সি ‘নারানজারি’ থেকে সংগৃহীত ও অনুদিত। অনুবাদ: হারুনূর রশীদ)

 

 

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT