জালিয়াতি করে জমি রেকর্ডভূক্ত করে নেয়ার ঘটনায় আদালতে স্বত্ব মামলা দায়ের করলে প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের উত্তর রাধানগর গ্রামের আল আমিন মিয়া। তবে অভিযোগকারীর অভিযোগ মিথ্যা দাবি করছেন অভিযুক্তরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল আমিন মিয়া বলেন, আমি আমার ভাই রুহুল আমিন মিয়া এবং পাঁচ বোনকে নিয়ে একসাথে দু:খ কষ্টে জীবন ধারণ করছি। তবে আমাদের একই গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আকত আলী, আমান আলী, ছাদ মিয়ার ছেলে মুজিবুর মিয়া, নোয়াজ মিয়ার ছেলে ফজল আলী, সেজল আলী, আসমা বেগম ও নোয়াব মিয়ার ছেলে আনসার মিয়া, সবুজ মিয়া, নিজাম মিয়া, সালমা বেগম, সামিনা বেগম, রুমেনা বেগম সুকৌশলে জালিয়াতি করে বিগত সেটেলমেন্ট জরিপের সময়কালে আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডভূক্ত করে নিয়ে যায়। তাদের সহযোগিতা করেন বহিরাগত জনৈক লেংরা কামাল। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ভূমির কাগজপত্র উত্তোলন করে সত্যতা নিশ্চিত হই এবং সম্পত্তি জালিয়াতি করে নেয়ার ঘটনায় ২০২১ সালে মৌলভীবাজার আদালতে আমার মা করফুল বেগম বাদী হয়ে স্বত্ব মামলা দায়ের করেন।
স্বত্ত্ব মামলা দায়ের করার পর থেকে প্রতিপক্ষ আকত আলী গং ব্যক্তিরা আমাদের বাড়িঘরে এসে হামলা ও মারধোর করে ও নিজেরা ঘটনা সাজিয়ে উল্টো আমাদের উপর মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে এবং আরও মামলা-হামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাদের মামলায় আমি ২০ দিন জেল হাজতে ছিলাম। বর্তমানে আমার ভাই রুহুল আমীন মিয়াও ৭দিন ধরে মৌলভীবাজার জেলহাজতে রয়েছে। রুহুল আমীনের পরিবারে কোন আয় রোজগার নেই এবং তার স্ত্রী ও ৩ কন্যাকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অভাব অনটনে দিনযাপন করছে বলে আল আমিন অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ বিষয়ে অভিযুক্ত আকত আলী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে থানা ও এলাকায় সামাজিকভাবে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আল আমিনরা কিছুই মানতে রাজি নয়। তারা জমির কাগজপত্রও বুঝে না। পরে বাড়িতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলে। বাঁধা দিতে গেলে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।