জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে তা বিফলে চলে যাবে, যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায়।
তিনি বলেন, জঙ্গী দমনের মতই সুশাসনের প্রশ্নে সরকারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দল ও মুখ না দেখে আইনের কঠোর প্রয়োগ সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনের সকল পর্যায়ে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ি কমিটির সভাপতি ইনু বলেন, সুশাসনের জন্য সরকারসহ সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি-দল-মহল-ব্যক্তিকে নতুন রাজনৈতিক চুক্তিতে আসতে হবে।
সুশাসনের জন্য সরকারসহ সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি-দল-মহল-ব্যক্তিকে নতুন রাজনৈতিক চুক্তিতে আসতে হবে। |
তিনি বলেন, সুশাসনের জন্য শুধুমাত্র সরকারের সদিচ্ছার জন্য অপেক্ষা না করে রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তিকে এখনই সোচ্চার হতে হবে। কেবলমাত্র সুশাসনই পারে দলবাজী-গুন্ডামী-দুর্নীতি-লুটপাটের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতে।
ক্রবর্ধমান লিঙ্গ বৈষম্য, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বৈষম্য, সকল সামাজিক অশান্তি ডেকে আনছে উল্লেখ করে রাজনীতির চলমান অবস্থাকে নতুন পর্ব আখ্যায়িত করে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠাই বর্তমান রাজনীতির মূল মোকাবেলার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে সকল অস্থিরতা, অশান্তি আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বৈষম্যের অবসানে সুশাসন প্রতিষ্ঠাই বর্তমান রাজনীতির প্রধান বিষয় বলে জাসদ মনে করে। এই সময়ে সকল বৈষম্যের অবসানে সমাজতন্ত্র ও সুশাসন সুনিশ্চিত করার বিকল্প কিছু নেই।
গত শনিবার ১৩ই জুলাই রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ(আইইবি)এর সেমিনার কক্ষে জাসদ জাতীয় কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কার্যকরী সভাপতি এড. রবিউল আলম, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, এড.শাহ জিকরুল আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন, আব্দুল হাই তালুকদার, সবেদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, আফজাল হোসেন খান জকি, যুক্তরাজ্য জাসদের সভাপতি এড. হারুন অর রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন মিয়া, এড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।