লাঘাটা নদীতে সেতুর কাজে দেয়া হয়েছে বাঁধ, ধান ঘরে তুলতে না পারায় উৎকন্ঠায় কৃষক
কমলগঞ্জের কেওলার হাওর এলাকায় ৫০ একর পাকা বোরো ক্ষেত অর্ধনিমজ্জিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল কেওলার হাওর এলাকার প্রায় ৫০ একর পাকা বোরো ক্ষেত অর্ধনিমজ্জিত রয়েছে। রাজনগর এলাকায় লাঘাটা নদীতে একটি সেতুর কাজে বাঁধ দেয়ার জলাবদ্ধতায় সাময়িক এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানির মধ্যে কাটতে না পারায় পাকা, আধা পাকা বোরো ক্ষেত ঘরে তুলতে না পারায় উৎকন্ঠায় কৃষক।
কৃষকদের অভিযোগে জানা যায়, বোরো মৌসুমে চাষাবাদকৃত উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কেওলার হাওরে কৃষকদের ক্ষেতে পাকা, আধা পাকা ধান হয়ে উঠছে। হাওরের মধ্যে পতনউষার ইউনিয়নের পতনউষার গ্রাম ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের রূপষপুর গ্রামসহ আশপাশ দু’একটি গ্রামের নিচু এলাকার প্রায় ৫০ একর বোরো ক্ষেত অর্ধনিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নদী খনন ও সেতু নির্মাণের কারনে রাজনগর এলাকায় লাঘাটা নদীতে একটি সেতুর কাজের জন্য নদীতে বাঁধ দেয়া হয়। এই বাঁধের ফলে উজানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারনে হাওরের ধানক্ষেত অর্ধনিমজ্জিত হয়ে পড়ায় কৃষকরা জমি থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন।
পতনঊষারের তোয়াবুর রহমান, আনোয়ার খান, রূপসপুর গ্রামের মোজাহিদ আলীসহ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, আমরা গত কয়েকদিন যাবত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারপরও উঠতি বোরো জমি থেকে পানি নামার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তারা আরও বলেন, এখন ঝড়-তুফানের সময়। জলাবদ্ধ অবস্থায় কখন ঝড়-তুফান ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আমাদের উঠতি বোরো ক্ষেত সম্পূর্ণ তলিয়ে যায় এবং আমাদের ক্ষতি গুণতে হয়, সে আশঙ্কা করছি।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেবকে অবহিত করেছি। আশাকরি পানি ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, লাঘাটা নদীর রাজনগর উপজেলা এলাকায় থাকায় রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে। তাছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যেই পানি ছেড়ে দেয়া হবে। তাতে কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে কোন সমস্যা হবে না।
|