আব্দুল বাকী সোহেল।। লন্ডন: রোববার, ২২শে মাঘ ১৪২৩।। প্রতিষ্ঠাকালীন রাজনগর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ধর্মপ্রান সমাজসেবক প্রবাসী মোজাক্কির হোসেন গত কাল শনিবার বাংলাদেশে নিজ বাড়ীতে পরলোক গমন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল উনসত্তুর বছর। তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৌলভীবাজারের বর্শীজুড়া মাইজপাড়ায় নিজবাড়ীতে ইন্তেকাল করেন।
মোজাক্কির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে এম এ অধ্যয়নের পর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মৌলভীবাজারের রাজনগরে নতুন মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রনীদের একজন ছিলেন। প্রবাস জীবনে তিনি খুবই ধর্মপ্রান সরল জীবন যাপন করেন। গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী তিনি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। রাতে বাড়ীতে পৌঁছে রাতের খাবারের পর গভীর রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। রাত ৩.৪০মিনিটে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন শনিবার বিকাল ৪টা ৪৫মিনিটে নিজ বাড়ীর সামনে “বর্শীজুড়া মাইজপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও মসজিদ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুতে মৌলভীবাজারের সকল মহল গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। জেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, মহিলা এমপি সায়রা মহসীন, উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পৌর চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুস সালাম, উকীল মুজিবুর রহমান মুজিব, প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান ফয়জুল করিম ময়ূন, আয়কর উকীল মাহমুদুর রহমান, ভিডিও চিত্র প্রজোযক ও পরিচালক খালেদ আহমদ চৌধুরী, ডানকান ব্রাদার্সের আঞ্চলিক অধিকর্তা আব্দুল ওয়ালী চৌধুরী, আব্দুল ওয়ালী, প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ তার মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে লন্ডনে বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবৃন্দ বিশেষ করে কেমডেনের এমপি টিউলিপ সিদ্দীক, এমপি রুশনারা আলী, জনমত সম্পাদক নবাব উদ্দীন, মুক্তকথা সম্পাদক হারুনূর রশীদ, সিলেট জেলা উন্নয়ন ও কল্যাণ পরিষদের নেতা আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক সৈয়দ রুহুল আমীন, বার্মিংহাম বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয় কর্মি আব্দুল মোক্তাদির কায়সুল, ব্যবসায়ী আব্দুল মছব্বির শাহীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহির উদ্দীন, লুটনের এস আর লকনু চৌধুরী, আবু জাফর লাইফ ও আব্দুল মছব্বির খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
মরহুম মোজাক্কির মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৪কন্যা সন্তান, একভাই ও দুই বোনসহ অনেক বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তিনি বৃটেনের লুটন শহরে বসবাস করতেন।