এ না হলে দলপতি বলা যায়? দেশকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসলে দলপতিকে এমনই হতে হয়। দলের দূর্দিনে যারা পাশে থাকেন না, সুবিধা পেয়ে দল ছেড়ে সরকার দল বা অন্য দলে যোগ দেন তারা দলে আবার ফিরে আসতে পারেন। সাদরে গ্রহন করা হবে। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াতে হলে তাদের আরো সময় নিতে হবে পরীক্ষা দেয়ার জন্য। তবেই না দল দাড়াবে, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। আর এ চেতনা থেকে আমরা ভারতের কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ছোট্ট একটি মনোভাবের প্রকাশ যা তিনি ভূপালের এক সভায় করেছেন এখানে তুলে ধরলাম।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সোমবার ১৭ই সেপ্টেম্বর বলেছেন, যেসব রাজনীতিক নতুন করে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন তাদের কেউই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বরং যারা কংগ্রেস ত্যাগ করে যাননি, দলে রয়ে গিয়েছেন তারাই দাড়াতে পারবেন।
তিনি সোমবার ভূপালে এক সড়ক শোভাযাত্রার পর কর্মীসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার দেবে দেশের কৃষক ও যুব সমাজের প্রতি। দলীয় কর্মীদের বিষয় আসবে এর পরে এবং নেতা-নেতৃদের বিষয় আসবে সব শেষে। তিনি আবারো বলেন, যারা অন্য দল থেকে কংগ্রেসে আসবেন তাদের আমরা স্বাদরে গ্রহন করবো তবে ভোটের টিকিট দেবো না।
মোদী ও মধ্যপ্রদেশ সরকারকে দোষারূপ করে রাহুল বলেন, বেকারের সংখ্যা, কৃষকের আত্মহত্যা এবং ধর্ষণ এসব মানবতা ও সমাজবিরুধী কাজে মধ্যপ্রদেশ তালিকায় সব উপরে অথচ তাদের মূখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। এ যেন ক্রিকেট চেম্পিয়ন সচিন টেন্ডুলকারের রাণ নেয়া মেশিনের মত। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজও তেমনি একটি ঘোষণা মেশিন হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ পর্যন্ত শিবরাজের ঘোষণার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১হাজার। তথ্য ও ছবি ন্যাশনেল হ্যারাল্ড থেকে সংগৃহীত