ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে রাশিয়াকে ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কারণ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। অর্থনৈতিক কোম্পানী ব্লুমবার্গের মতে বিগত এক শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো সার্বভৌম ঋণ পরিশোধের সময়সীমা অতিক্রম করেছে দেশটি। ব্লুমবার্গের হিসেবে বিগত ২৭মে ২০২২ইং শুক্রবার, নির্ধারিত দু’টি বণ্ড-এর মূল্য প্রদানে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত একমাস বা ৩০দিন সময় দেয়া হয়েছিল কিন্তু বিগত ২৬ জুন রোববার পর্যন্ত অর্থ প্রদানে কোন সুযোগ করতে পারেনি রাশিয়া। আর তাই ব্লুমবার্গ কোম্পানীর মতে বিষয়টি ঋণ খেলাপি বলে বিবেচিত হবে। রাশিয়ার হাতে এই অর্থও রয়েছে। নিয়ম মেনেই দেশটি এই অর্থ পরিশোধ করতে রাজিও ছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থ পরিশোধ মস্কোর জন্য অসম্ভব হয়ে উঠে। দেশের আত্মমর্যাদা রক্ষায় ও ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে ক্রেমলিন। তবে এরপরেও ব্যর্থ হওয়ার পরিস্থিতিটিকে রুশ অর্থমন্ত্রী ‘প্রহসন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া ৪০ বিলিয়ন ডলার বকেয়া বন্ডের অর্থ পরিশোধে খুবই সমস্যায় পড়েছে। দেশটির অর্থ সংকটের চেয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলোই এখানে সবচেয়ে বড় প্রভাবকারী হিসেবে কাজ করছে। এমন মত প্রকাশ করেছে বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়ার অনেক সম্পদ স্থগিত করা হয়েছে। এর প্রভাবে বন্ডমালিকদের কাছে অর্থ পাঠাতে পারছে না দেশটি। রুশ সরকারের অভিযোগ, পশ্চিমারা কৃত্রিমভাবে রাশিয়াকে ঋণখেলাপি হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সূত্র: বিবিসি, বিজনেস ষ্ট্যাণ্ডার্ড ও আল জাজিরা থেকে সংগৃহীত |