মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষুদ্ররাষ্ট্র সাগরতীরের ওমান’এর সুলতান কাবুস বিন সাইদ গত শুক্রবার ১০ জানুয়ারী সন্ধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না করেই ওমানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর প্রচার করে। সাথে সাথে প্রয়াত সুলতানের মহাপ্রয়াণে গোটা ওমানে ৩দিনের শোকদিবস পালনের কথাও ঘোষণা করে।
১৯৭০ সালে এক শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের মাধ্যমে সুলতান বিন কাবুস বিন সাইদ উপকূলীয় আরব রাষ্ট্র ওমানের ক্ষমতায় আসেন। সুলতান কাবুস ছিলেন নিঃসন্তান এবং জনসমক্ষে তিনি কোন উত্তরাধিকারী নিয়োগ দিয়েও যাননি। অবশ্য রাষ্ট্রটির ১৯৯৬সালের বিধিবদ্ধ আইন বলে যে সিংহাসন খালি হওয়ার ৩দিনের মধ্যে শাসক পরিবার তাদের উত্তরাধিকারী পছন্দ করে নেবেন। যদি তা না পারেন তাহলে উচ্চ সামরিক পরিষদ, নিরাপত্তা কর্মকর্তাগন, সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক এবং দু’টি পরামর্শক সংসদের প্রধান মিলে সুলতানের সিল করে রাখা খাম খুলে যার নাম লিখা পাবেন তাকেই ক্ষমতায় বসাবেন। অর্থাৎ প্রকাশ্যে কাহাকেও উত্তরাধিকারী ঘোষণা না দিলে সুলতান গোপনে তার নিজের কাছে রক্ষিত সীলকরা কোন খামে নাম লিখে রাখার বিধি রয়েছে।
রয়টারের খবরে জানা যায় যে, সুলতানের প্রয়াণের পর রাষ্ট্রের দু’টি প্রভাবশালী পত্রিকা হাইতাম বিন তারিখ আল সাইদকে নতুন সুলতান হিসেবে দাবী করে। হাইতাম বিন তারিখ আল সাইদ-ও সুলতানের চাচাতো ভাই হিসেবে শপথ নিয়ে নিয়েছেন। রয়টারের এ খবরের ভিত্তি ওমানের সেই দু’টি সংবাদপত্র “আল ওয়াতান” ও “আল রয়া”এর টুইট। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ৩দিনের শোক ঘোষণা করেছে এবং ৪০ দিন দেশের পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা ঘোষণা দিয়েছে।
ওমানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম ওএনএ খবর লিখেছে এই বলে যে “কাবুস প্রয়াত হয়েছেন এক জয়োউল্লোসিত আর মহত্বে সমৃদ্ধ সময় পার করে। তার বুদ্ধীর দীপ্তি ও মহত্ব ওমানকে বিশ্বময় সম্মানিত করেছে পাশাপাশি গোটা আরব দুনিয়া, মুসলমান এমনকি গোটা বিশ্বকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করেছে। তিনি সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য কৌশল অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন যা বিশ্বময় সম্মানের চোখে দেখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে এবং বিদায়ের শেষ লগ্নের একটি সপ্তাহ কাটিয়েছেন বেলজিয়ামে চিকিৎসার জন্য গেল ডিসেম্বরের প্রথম দিকে।
খবর সূত্র: আরব নিউজ