প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, কমলগঞ্জ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তিন বখাটে যুবক শুক্রবার রাতে পৌর এলাকায় এক কিশোরীকে(১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর মা কমলগঞ্জ থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার পরপরই শনিবার ভোর রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারের মকবুল আলী সড়কে ভাড়া বাসায় বসবাসকারী কিশোরী(১৫) একটি বাসার কাজ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় যাচ্ছিলো। এসময় রাস্তায় তিন বখাটে কিশোরীকে মুখচেপে জোরপূর্ব্বক সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শুক্রবার রাতে কমলগঞ্জ পৌরসভা সংলগ্ন ধানি জমিতে ফেলে যায়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার এএসআই মোস্তফা মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাত ৯টায় কিশোরীকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিশোরীর বক্তব্য অনুযায়ী এ ঘটনায় জড়িত তিন কিশোরকে শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টায় তাদের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পিতৃহীন ধর্ষিতা ওই কিশোরী তার মা বোনের সাথে পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজারে মকবুল আলী সড়কের(ধানসিড়ি আবাসিক এলাকা) একটি ভাড়া বাসায় থাকত বলে জানা গেছে। পুলিশ বখাটে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতরা হলেন- পশ্চিম বালিগাঁও গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া ও ওরপে বাবু মিয়া(১৮), বটতল গ্রামের আকরাম উল্যার ছেলে আব্দুল মুমিন(২০), ও সিএনজি চালক ধলাইপার গ্রামের আদিল চৌধুরীর ছেলে জাহিদ হাসান ওরপে সোহাগ মিয়া(১৯)।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা পারুল বেগম শনিবার সকালে কমলগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একট ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। কমলগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নী মুহিত জানান, ধর্ষিতা এই কিশোরী তার মায়ের সাথে পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজারের মকবুল আলী সড়কের(ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায়) রফিক মিয়ার কলোনীতে ভাড়া বাসায় থাকে। তারা খুবই দরিদ্র বলে অন্যের ঘরে ঝিয়ের কাজ করত।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোক্তাদির হোসেন পিপিএম তিন ধর্ষককে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত তিন ধর্ষককে শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।