এই মে মাসের প্রথম দিকে যখন মিয়ানমারের আটক জননেত্রী অং সান সু কি তার মিত্রদের নিয়ে দেশের কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন দেশের সামরিক জান্তার দীর্ঘমেয়াদি দখলদারিত্বের অবসানের জন্য একটি নতুন জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে ঠিক সে লগ্নেই থাই-মিয়ানমার সীমান্তে একদল সশস্ত্র গেরিলা মিয়ানমারের একটি সামরিক সীমান্ত চৌকি দখল করে নিয়েছে। বিশ্বের প্রখ্যাত সব সংবাদমাধ্যম গত ২৭ এপ্রিল এ খবর প্রকাশ করে। এই সশস্ত্র গেরিলা দলটি মিয়ানমারেরই একটি গেরিলা দল বলে পত্রিকাগুলো উল্লেখ করেছে।
‘করেন জাতীয় মুক্তি ফৌজ'[(Karen National Liberation Army, an armed wing of Karen National Union(KNU)] নামের এই সশস্ত্র দলটি, থাই সীমান্তের মায়ানমার সামরিক সীমান্ত চৌকির একটিতে সশস্ত্র আক্রমণ করে দখল করে নেয়। গত এক মঙ্গলবার এই খবরটি প্রথম টেলিফোনের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ‘করেন ন্যাশনেল ইউনিয়ন’এর বিদেশ বিষয়ক প্রধান সো থো নি। সংবাদ মাধ্যমটি কোন তারিখ উল্লেখ করেনি।
মায়ানমার গেরিলাদ্বারা সীমান্ত চৌকির উপর এই আক্রমণ তখনই আসে, যখন মায়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হলেঙ্গ গত ফেব্রুয়ারীর পয়লা তারিখে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে উচ্ছেদ করেন। এর পরই এই প্রথম এই আক্রমণ এসেছে। অভ্যুত্থানের পর মায়ানমার সামরিক প্রধান গত এক শনিবার(তারিখ নেই), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান জাতিগুষ্ঠী সমিতি’র ১০ সদস্যের একটি বিশেষ অধিবেশনে অবিলম্বে হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধের কথায় রাজী হয়েছিলেন। আর এর পরই এই আক্রমণের ঘটনা ঘটলো।
মায়ানমার সামরিক জান্তা এ পর্যন্ত দেশের ৭৫০০ শতেরও বেশী মানুষকে হত্যা করেছে এবং আটক ও জেলবন্ধী করেছে কমপক্ষে ৩,৫০০জনকে।
‘করেন ন্যাশনেল ইউনিয়ন’এর বিদেশ বিষয়ক প্রধান সো থো নি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে, ওই সীমান্ত চৌকিতে গেরিলা আক্রমনে ১০জনের মত সেনাসদস্য মারা যায়। আর এরই উত্তর দিতে গত মার্চে সামরিক বাহিনীর মারনাত্মক বিমান অভিযান পরিচালনা করে। সে অভিযানে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশী মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। সূত্র: ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেস
|