মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ করোণা বাংলাদেশে বেড়ে গিয়ে চলমান সময়কে ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। দেশে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৫০জনের নিচে নেমে আসছেই না। দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নামে আন্তর্জাতিক মানের দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছিল যে গত ৩১ মার্চ দেশে সর্বমোট ৫২জন মারা গিয়েছেন। সেই সংখ্যা ছিল এযাবৎকালে দেশের করোণায় মানবমৃত্যুর সর্ব্বোচ্চ সংখ্যা। এর পর থেকে প্রতিদিন করোণায় মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড তৈরী হয়ে চলেছে। গত ১০ এপ্রিল একদিনে করোণায় মৃত্যুর সংখ্যা জানা গিয়েছিল ৭৭জন। এর পরের দিন মৃত্যুর সংখ্যা উঠেছিল ৭৮জনে। এ ছিল স্বাস্থ্য দফতরের খবর।
এ পর্যন্ত দেশে মোট করোণা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬লাখ ৮৪হাজার ৭৫৮জন।
অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দায়ীত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইত্তেফাকের সাথে আলাপকালে বলেছেন যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য একটি মহল করোণার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর একটি ব্যাখ্যায় তিনি বলেন যে, প্রথম যখন করোণা মহামারী আকারে দেখা দিয়েছিল তখন বসুন্ধরা কনভেনশন কেন্দ্রে একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে তাঁবু বসিয়েছিল বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ আর যন্ত্রপাতি ও জনবল ছিল সরকারের। পরে মহামারি কমে যাওয়ায় ওখানে শয্যা ফাঁকা থাকছিল। এছাড়াও ওখানে ওই বসুন্ধরায় রোগীরা যেতে চাইতো না। প্রচণ্ড গরমে তাঁবুতে যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়ায় সেসকল যন্ত্রপাতি দেশের বিভিন্ন সরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। একইসাথে জনবল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বসুন্ধরাও তাদের তাবু সরিয়ে নেয়। এখানে সরকারের কোন ক্ষতি হয়নি। আসল অবস্থা জানার চেষ্টা না করেই একটি পক্ষ অপপ্রচার করছে।
তিনি আরও বলেছেন, রাজধানী ঢাকার ডিএনসিসি বাজারে ২০০ শয্যার আইসিইউ সহ মোট ১২০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে এই হাসপাতালে দায়িতআপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ওই হাসপাতালের উপরের পাটাতনে বিশ্বব্যাঙ্ক তাদের নিজস্ব অর্থে ২০০ শয্যার হাসপাতাল করতে চেয়েছিল কিন্তু ওইটি আর চূড়ান্ত হয়নি। আর এসব নিয়ে কোন কোন মহল অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
বাড়তি সহায়তা
এদিকে করোণার এই আপদকালীন সময়ে ঢাকাসহ দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের স্বাস্হসেবা নিশ্চিত করতে দেশের ৪৮৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিটিকে ৩লাখ টাকা করে মোট ১৪কোটি ৪৯লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
|