মুক্তকথা সংগ্রহ।। মৌলভীবাজার জেলা শহরে বে-ওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে পথচারীদের আতংঙ্কিত থাকতে হয়। নিরীহ গৃহপালিত পশু কুকুর এখন আতঙ্ক বয়ে বেড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত অনেকেই এই কুকুরের আক্রমনের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে সকাল বেলা যেসব শিশু-নারী-পুরুষ সুস্থতার জন্যে একটু হাঁটতে বের হন তাঁরাই অধিকহারে এ বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে উঠেন। হাট-বাজারে পথ চলতে কুকুরের উপদ্রব লেগেই থাকে।
গতকাল ১ অক্টোবর সকালে হাঁটতে বের হয়ে শহরের সুপরিচিত ইন্জিনিয়ার মনসুরুজ্জামান সহ কয়েক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হন। পরে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এর আগেও অনেককে বেওয়ারিশ কুকুর কামড় দিয়েছে। গরীবদের জন্য এর ইনজেকশন ও চিকিৎসা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। এসব বেওয়ারিশ কুকুরের শরীরে রয়েছে নানা রোগ জীবানু। করোণা মহামারির কারণে কমমানুষের আনাগোনায় ফাঁকা পথে কুকুরের অবাধ রাজত্ব চলে রাত-দিনভরে।
রাস্তায় বেওয়ারীশ কুকুর বাহিনী। ছবি: সৈয়দ রুহুলের ফেইচবুক
মানবশূণ্য সড়কে কুকুর পাহাড়াদার |
কুকুরের কামড়ানো একটি পা |
|
বিভিন্ন দেশে কুকুর লালন পালনে নিয়ম কানুন থাকলেও বাংলাদেশের প্রায় সব কুকুরই বেওয়ারিশ! কুকুর বিষয়ে এ ধরনের খবর বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। এমন খবর দামী দামী পত্রিকায় ছাপা হলে স্থানীয় সরকার বা বিভিন্ন পৌরকর্তৃপক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে কুকুর নিধনে নেমে পড়েন। মানুষের সবচেয়ে প্রকৃত বন্ধু হতে পারা কুকুরকে খুবই নির্দয়ভাবে হত্যা শুরু করেন। অথচ শহরসহ এ জেলায় বহু এনজিও কাজ করছে, তারা এই বেওয়ারিশ কুকুরকে নির্ধারিত স্থানে লালন পালনের ব্যবস্থা চাইলেই নিতে পারে। জাতীয়ভাবে সরকারও এনজিও গুলোর মাধ্যমে কুকুর পালনের এমন একটি কর্মসূচী নিতে পারে। বিশ্বের বহু দেশ কুকুরের মাংসকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। কুকুর পালনের ব্যবস্থা করে নিলে এটা নির্দ্বিধায় একটি আয়ের উৎস হতে পারে। স্থানীয়ভাবে পৌরসভা কিংবা জেলা পরিষদ পৃথক পৃথক ভাবে কিংবা যৌথভাবে অনুরূপ কিছু করতে পারে। এতে করে অন্ততঃ নিষ্ঠুর নির্দয়ভাবে কুকুরকে মারতে হবে না বরং কুকুর থেকে আয় উপার্জনের রাস্তা তৈরী করা যেতে পারে। একই সাথে পৌরসভাগুলো এখন থেকে কুকুর পালনে নথিভুক্ত করণের নিয়ম চালু করতে পারেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা কুকুর পালন নিবন্ধীকরণ চালু করতে পারে যেকোন সময় থেকে। এ নিয়ম চালুর আগ পর্যন্ত অন্ততঃ শহরে বেওয়ারীশ কুকুরের খোয়াড় ব্যবস্থাও চালু করতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি নজরে নেয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
আশাকরি স্থানীয় পৌর ও জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত একটি ব্যবস্থা গ্রহনে এগিয়ে আসবেন। জেলাবাসী তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সূত্র: সৈয়দ রুহুল আমীনের ফেইচবুক থেকে
|