ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিচ্ছে
স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে উতলে উঠেছে সমস্ত বাংলাদেশ। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সুপরিচিত রাজনৈতিক পক্ষটি ছাত্র-ছাত্রীদের এ আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে এখন প্রকাশ্যেই সামনে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) উপাচার্যসহ সরকার প্রধানের পদত্যাগ দাবীকরে মিছিল ও সভা করেছেন। একটি সংবাদপত্র তাদের পরিচয় দিয়েছে বিএনপি পন্থি সাদা দলের শিক্ষক বলে।
এ খবর লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকারী প্রায় ১৯জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে কোটা আন্দোলনকারীরা আলোচনায় যাবার বিষয়ে নেতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ঢাবি’র সাদা দলের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কিছু দাবী তুলে ধরা হয়। দাবীতে তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনকে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন উল্লেখ করে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী এবং পুলিশের হামলা, হত্যা, আহত করা, শিক্ষকদের অবমাননা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ মাধ্যম থেকে আরও জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটার পর কোটা আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন- ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা চালিয়ে সরকার উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর দায় সরকারেরই। সরকার আলোচনার কোনো পরিস্থিতি রাখেনি।’
‘যদি এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজপথ থেকে সরানো না হয়; যদি হল, ক্যাম্পাস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়া হয়, যদি এখনো গুলি অব্যাহত থাকে তাহলে সরকারকেই সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।’
‘কেবল কোটা সংস্কার করলেই ফয়সালা হবে না। প্রথমে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে। এখন সংলাপের নামে, দাবি আদায়ের নামে নতুন প্রহসন করছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির নামেও কোনো প্রসহন মেনে নেওয়া হবে না।’
‘সকল ছাত্র হত্যার বিচার করতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্র করে রাজপথ থেকে অপসারণ করতে হবে। শহীদের রক্তের উপর কোনো সংলাপ হবে না। সরকারকেই সমাধানের পথ বের করতে হবে৷’
‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে খুনি সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্রদের পাশে থাকুন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান থাকবে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। বাংলাদেশে গণহত্যা চলছে।’
‘আমাদেরকে আজকে রাতের মধ্যেই গ্রেফতার অথবা গুম করে ফেলতে পারে। আপনারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন। সবাই জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিটা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করুন।’