দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি।। দোয়ারাবাজারে শিক্ষার্থীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন ঘিলাছড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ একেএম মুজিবুর রহমান। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অফিস কক্ষের দরজা-জানালা ভাংচুর করে ভেতরে ঢুকে ঘন্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখে অধ্যক্ষকে। পরে ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে স্থানীয় নরসিংপুর বাজারসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার, ১০মার্চ সকাল ১১টার দিকে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ার ফাঁকে অবসরকালীন সময়ে স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে খেলাধূলা, শরীরচর্চাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষ বরাবরে তারা একাধিকবার আবেদন করে বিফল হয়। অনুমতি না দিয়ে বরং উল্টো ছাত্রদেরকে অকথ্য ভাষায় প্রায়ই গালমন্দ করে থাকেন অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান। শেষমেষ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল হককে বিষয়টি জানালে তিনিও তাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
অপরদিকে, ক্লাস চলাকালীন সহসা অসুস্থতা জনিত কারণে ছুটি চাইলে অধ্যক্ষ তাদের কাছে বখশিস দাবি করে বসেন। এজন্যে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তার অপসারণ দাবি করছেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ একেএম মুজিবুর রহমান বলেন, পিতৃ সমতুল্য শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীদের এহেন রূঢ় আচরণ মোটেই কাম্য নয়। প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকান্ডে অভিজ্ঞতা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি বিশেষ মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। ঘিলাছড়া স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল হক বলেন, এলাকার একটি কুচক্রি মহল কতিপয় অসাধু শিক্ষার্থীদের মদদ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীদের প্রতি একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের এহেন অশালীন আচরণ মোটেই শোভনীয় নয়। অপরদিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এলাকাবাসী সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তির প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।