1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
গেলো সপ্তাহের শ্রীমঙ্গল, মৌলবীবাজার ও কমলগঞ্জ - মুক্তকথা
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

গেলো সপ্তাহের শ্রীমঙ্গল, মৌলবীবাজার ও কমলগঞ্জ

মৌলবীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সংবাদদাতা॥
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ২ পড়া হয়েছে

 

শ্রীমঙ্গল ভেজাল মসলায় সয়লাব,

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হলুদ-মরিচ এবং ধনিয়া গুঁড়া মিলের আড়ালে চলছে ভেজাল মসলার রমরমা বাণিজ্য। উপজেলার অধিকাংশ মসলার মিলের অসাধু মালিকরা অতি মুনাফার লোভে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত মসলা তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রমজান মাসে মসলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভেজাল সিন্ডিকেট চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় ভোক্তাদের অভিযোগ, উপজেলার অধিকাংশ মসলার মিলে ধানের তুষ, মুরগির ফিড, ইট ও কাঠের গুঁড়া, মটর ডাল, নাগা মরিচ, কাপড়ে ব্যবহৃত বিষাক্ত রঙ, দুর্গন্ধযুক্ত পটকা মরিচের গুঁড়া(নিম্ন মানের মরিচ), আটা-ময়দার ভুসির সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে বিভিন্ন রকম ভেজাল মসলা তৈরি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি শহরের সোনার বাংলা রোড, সাগরদিঘী রোড, শান্তিবাগ, মৌলভীবাজার রোড এবং শহরতলীর বিলাসের পাড়সহ বিভিন্ন মসলার মিলে স্বশরীরে উপস্থিত হলে ভেজাল মসলা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যায়।

জানা যায়, উপজেলায় ১৩টি মসলা মিল রয়েছে। এসব মিল থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মরিচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়ো করে দোকানে বিক্রি করছেন। কয়েক মিল মালিকও এই গুঁড়া মসলা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পাইকারি দোকান থেকে এসব গুঁড়া মসলা কিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন। বিশেষ করে এখানকার চা বাগানগুলোতে এ গুঁড়া মসলা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে গুঁড়া মসলা কিনছেন। বাজার থেকে এসব মসলা কিনে মানুষ যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কাও রয়েছে।

শহরের একাধিক ব্যবসায়ীর দাবি, উৎপাদনকারীরা তিনভাবে বাজারে ভেজাল মসলা সরবরাহ করে। কিছু বিক্রি করে প্যাকেট ছাড়া, কিছু বিক্রি করে সাধারণ প্যাকেটে করে, আবার কিছু বিক্রি করে নামি-দামি মসলা কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে। এসব ভেজাল মসলা কিনে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। চলমান অবস্থায় মনে হয়, প্রশাসনের এ বিষয়ে কোনো নজরদারি নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব ব্যবসায়ীদের মসলা উৎপাদন ও বিক্রির কোনো অনুমোদন নেই। নিয়ম অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর ও বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সনদপত্র দিলে খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা যায়। তবে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে এসব মসলার মিলে কখনো অভিযান চালাতে দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে খোলা বাজারে বিক্রি করা মসলাগুলোর মান সঠিক কিনা এবং একই হলুদ ও মরিচসহ অন্যান্য গুঁড়া মসলা কোম্পানির মূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে তারা কীভাবে বিক্রি করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এছাড়া সিরিয়া ও ফিলিস্তিন থেকে পশুপাখির খাদ্য হিসেবে আমদানি করা এক ধরনের ‘সিড’ বা বীজ গুঁড়া করে ভেজাল মসলা তৈরি করা হচ্ছে। বীজের গুঁড়ার সঙ্গে ক্ষতিকর লাল রং ও কিছু মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে ভেজাল মরিচের গুঁড়া এবং হলুদ রং ও কিছু হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ভেজাল হলুদের গুঁড়া তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি মসলার রঙ আকর্ষণীয় করতে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক রঙ মেশানো হচ্ছে।

মসলার ওজন বাড়ানোর জন্য ধানের ভুসি ব্যবহার করা হয়। অসাধু চক্র প্রথমে গোপন কারখানায় ভেজাল মসলা উৎপাদন করে, পরে তা প্যাকেটজাত করে খোলাবাজারে সরবরাহ করে। খুচরা বাজারে এসব ভেজাল মসলা কম দামে বিক্রি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ এগুলো কিনছেন। কিন্তু এসব গুঁড়ায় প্রাণঘাতী কেমিক্যাল ও ভেজাল আছে, তা তাদের অজানা থেকে যাচ্ছে।

স্থানীয় ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, “ভেজাল গুঁড়া মসলায় বাজার ভরে যাওয়ায় আমার মতো ভোক্তারা ভালো মন্দ না বুঝেই নিম্ন মানের মসলা কিনছি। তাই ভেজাল মসলা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হওয়া দরকার।” আরেক ক্রেতা দ্বীপ বোনার্জি বলেন, “ভালো খারাপ চেনার কোনো উপায় নেই। তাই বাজারে যা পাচ্ছি তাই কিনে নিচ্ছি।”

ভেজাল মসলার বিষয়ে জানতে চাইলে মিল মালিকরা ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অনুমোদনের বিষয়ে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন জানান, “ভেজাল মসলা গুঁড়া খেলে পাকস্থলীতে নানা ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যনালিতে আলসার, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া ও কিডনি নষ্ট করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।”

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন জানান, “শ্রীমঙ্গলে ভেজাল মসলা তৈরিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এর আগেও কয়েকটি মিলে অভিযান চালানো হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা ও জেল দেওয়া হয়েছে। আবারও অভিযান চালানো হবে। ভেজাল মসলা তৈরি বা কোনো অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, ভেজাল মসলা তৈরি ও বাজারজাত করণের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, খাদ্যে ভেজাল রোধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে।




মৌলভীবাজারে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী

ছাত্র-জনতা ব্যানারে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত

 

সারা দেশে অব্যাহত নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ হত্যার প্রতিবাদে ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে মৌলভীবাজার শহরে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মার্চ’২৫ বৃহস্পতিবার বেলা ১১:৩০টার সময় মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পদযাত্রার প্রারম্ভিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রা শহীদ মিনারের সামনে থেকে শুরু হয়ে চৌমুহনা হয়ে সেন্ট্রাল রোডে ধরে চলতে থাকে। সেন্ট্রাল রোডের সিকান্দার আলী পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা ঘুরে চৌমুহনায় এসে সমাপনী সমাবেশের মধ্য দিয়ে বেলা ১টায় পদযাত্রা কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট আবুল হাসান এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন রাজিব সূত্রধর।

প্রারম্ভিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের হৃদয় অধিকারী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, শিক্ষার্থী ফারাবী ইসলাম, সাবিহা আক্তার তুলি, ইমতিয়াজ আহমেদ, সাকিব বক্স, শ্যামল সরকার, ইভা রহমান। চৌমুহনায় পদযাত্রার সমাপনী সমাবেশে এডভোকেট আবুল হাসানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় এবং বক্তব্য রাখেন বিশ্বজিৎ নন্দী।

 




জমি সংক্রান্ত বিরোধের শেষে সংঘবদ্ধ দল কর্তৃক প্রতিপক্ষের উপর হামলা,

মহিলাসহ আহত-৫, গ্রেফতার-৯


 

 

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সংঘবদ্ধ দল কর্তৃক প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৫ জনকে আহত করা হয়েছে। আহত মহিলাসহ দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী আক্রমনকারী লোকদের অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে পতনঊষার ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীসূর্য্য গ্রামের আলেক মিয়ার বাড়িতে এঘটনা ঘটে। তবে অভিযুক্তরা দাবি করছেন তাদের দুইজনও আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলেক মিয়া ও মঈন উদ্দীন দু’পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ এবং আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন মঈন উদ্দীনরা তাদের আত্মীয় স্বজন ও বহিরাগত লোকদের এনে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আলেক মিয়ার বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে ফাতেমা বেগম(৬০), সালেক আহমদ(৩২), আব্দুল কুদ্দুস(৬০), আলেক মিয়া(৩০) ও সেলিম আহমদ(৩৫) আহত হন। আহতদের মৌলভীবাজার সদর ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের সংঘবদ্ধ হামলার বিষয়টি গ্রামের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং গ্রামবাসী বহিরাগত লোকদের অবরুদ্ধ করে থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ৯ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদি আলেক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলামের ইন্ধনে মবশ্বির আলীর ছেলে মঈন উদ্দিন, নছির মিয়া, আলাউদ্দিন, জহিরুল ইসলাম মিলে বহিরাগত কমলগঞ্জের লাল মিয়া, কেছুলুটির শাওন মিয়া, বাঘরিয়ালের ছয়ফুল মিয়া, টিলাগাঁও এর রিয়াজ আহমদ, দক্ষিণ কড়াইয়ার সালমান হোসেন, হাটি করাইয়ার রাজু মিয়া সহ ২০ থেকে ২৫ জন ভাড়াটিয়া লোক জড়ো করে দা, রড, লাটিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে আক্রমন করে এবং আমাদের উপর হামলা করে আমার মা সহ ৫জনকে কুপিয়ে আহত করে। এঘটনায় আমি ১৫ জন কে আসামী করে শুক্রবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।

অভিযোগ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে জানতে চেয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, তাদের যাতায়াতের রাস্তা আলেক মিয়ারা বন্ধ করে দেয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মবশ্বির মিয়ার পক্ষের দুইজন আহত হয়েছেন। তাছাড়া বহিরাগত কেউ ছিলেন না। মবশ্বির আলীর মেয়ের জামাইরা উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং আটক ৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।



 

একই রাতে শরীফপুর ইউনিয়ন থেকে দু’টি ষাঁড়সহ চারটি গরু চুরি
ছয় মাসে ২৫ গরু চুরি


 

একই রাতে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দু’টি চা বাগান থেকে চারটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহস্থরা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত ৬ মাসে এই ইউনিয়ন থেকে ২৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার (৮ মার্চ) ভোর রাতে তিলকপুর চা বাগানের সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার বাড়ি থেকে দু’টি ষাঁড় গরু এবং পার্শ্ববর্তী চাতলাপুর চা বাগানের টাঙ্কি টিলার ঝন্টু রবিদাসের দু’টি গরু চুরি হয়।ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিকরা জানান, অজ্ঞাত চোরেরা ডেইলী স্টার পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার বাড়ির গোয়াল ঘরের স্টিল দরজার তালার হুক কেটে গভীর রাতে বড় আকৃতির একটি সাদা ও একটি কালো রঙের ষাড় গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

একটি প্রতিকী ছবি। -মুক্তকথা

সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারা জানান, চুরি হওয়া দুটি ষাঁড় গরুই ছিল তার একমাত্র সম্পদ। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা হবে। গরু চুরির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চুরির রাতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নেই এবং শনিবার সকালে চা বাগান পঞ্চায়েত, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করি।অন্যদিকে চাতলাপুর চা বাগানের ঝন্টু রবিদাস বলেন, একই রাতে আমার দু’টি গরু চুরি হয়েছে। গরু দু’টিই আমার শেষ সম্বল ছিল। দু’টি গরুর বাজার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা হবে। এতে আমি বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি।

এদিকে শরীফপুর ইউপি সদস্য মো. হারুন মিয়া ও গণেশ গোয়ালা জানান, গত রাতে চারটি গরুসহ গত ছয়, সাত মাসে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫টি গরু চুরি হয়েছে। একটি গরুও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং চোরদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছি। তিনি আশ্বাস প্রদান করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব গরুগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া কুলাউড়া সদর থেকে প্রায় ৩০ কি.মি. দূরে শরীফপুর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থাকায় পুলিশ আসতে আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়ে যায়।



আগুনে পুড়ে নিঃস্ব কমলগঞ্জের

এক প্রবাসীর পরিবার

 

গভীর রাতে কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ে এক প্রবাসীর পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। আগুনে আধা কাঁচা বসতঘরের আসবাবপত্র, কাপড় চোপড়, স্মার্ট ফোন, স্বর্ণালঙ্কার সব পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় পনের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে  উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কাউয়ারগলা গ্রামের মন্তাই মিয়ার বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।

 



 

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সত্ত্বরোর্ধ কুলসুম বিবি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গভীর রাতের অগ্নিকা-ে তার সদ্য বিবাহিত ছেলের শ্বশুরবাড়ী থেকে দেওয়া নতুন সোফাসেট সহ কয়েকলক্ষ টাকার আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তার মেয়ে রোমানা বেগম বলেন, শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে তারা খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে যায়। পরে রাত প্রায় দেড়টার সময় রান্নাঘরে আগুন দেখতে পয়ে চিৎকার শুরু করে। পরিবারের লোকজন উঠে ঘরে বাহির হওয়ার পর পরই তাদের শয়ন কক্ষে আগুন দাউদাউ করে জ¦লতে থাকে। এসময় প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় আগুন নিযন্ত্রণে আনলেও ঘরের কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি জানান, তার দুই ভাই ইন্তাজ আলী ও ইকরাম আলী মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। তাদের কষ্টার্জিত অর্থে তিল তিল করে জমানো সব সহায় সম্পদ চোখের পলকে ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা শুধু পরনের কাপড় নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পেরেছেন। এখন তারা আরেকটি ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়েছে।

তবে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার ফারুকুল ইসলাম এবিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন খবর পাননি বলে জানান। আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর পরিদর্শন করে তাদেরকে যথাসম্ভব সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারের পূনর্বাসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT