মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ঘূর্ণীঝড় ‘বুলবুল’ এ পর্যন্ত কেবল বাংলাদেশেই ১৪জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম থেকে আরো জানা যায় যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও কমপক্ষে ১২জনের মৃত্যু ঘটেছে।
১২০কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত ঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা-উপজেলায় আঘাত আনলে গত শনিবারই কেবল গাছ উপরে পড়ে বাংলাদেশে মারা যান ১১জন বলে আলজাজিরা লিখেছে এবং ট্রলার ডুবিতে ১জন ও ঘরচাপা পড়ে আরো ২জনের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে মোট ১২জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশের ভোলায় ট্রলার ডুবিতে ১জন মারা গেছেন পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১০জন।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, মাটি, টিন ও বাঁশের তৈরী অন্ততঃ ১০হাজার বাড়ী-ঘর বিধ্বস্ত এবং ২লাখ হেক্টর অর্থাৎ ৪লাখ ৯৪হাজার একর জমির শষ্য বিনষ্ট হয়েছে। আরো বেশী ক্ষতি থেকে দু’টো দেশ- বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে কেবলমাত্র ‘মেনগ্রোব’ বা গরানগাছের সুন্দরবন রক্ষা করেছে।
এই ঘূর্ণীঝড়ে ভারতের উড়িষ্যায়ও ব্যাপক ফসলহানী ঘটেছে বলে আলজাজিরা লিখেছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রায় ৩কোটি মানুষ এবং পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার মানুষজনও প্রতি বছরই এ নমুনার কোন না কোন একটি ঘূর্ণীঝড়কে মোকাবেলা করে আসছে বলতে গেলে সেই প্রাচীণকাল থেকেই। ইদানিং আশ্রয়ঘর বানানোর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে। কিন্তু পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে ফসল হানির বিষয়ে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
সংবাদ মাধ্যম থেকে আরো জানা যায় যে, এই ঘূর্ণীঝড়ের কারণে কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ ছিল পুরো ১২ঘন্টা। স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৯৯সালে উড়িষ্যার উপকূলে ৩০ঘন্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণীঝড় 05B পারাদিপ। এখানে তখন প্রায় ১০হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। পরিবেশ বিবর্তনের কারণেই যে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে বিভিন্ন গবেষণা থেকেই তা উঠে এসেছে।