লণ্ডন।। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেশা মে’র ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার লেনদেনের দীর্ঘসূত্রীতায় অধৈর্য্য হয়ে আকাশপথের ব্যবসায়ী শূণ্যলোকের অপ্রতিদ্বন্ধী কারবারী “এয়ারবাস” বৃটেন থেকে তাদের মূলধন তুলে নিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উৎপাদনী খাতে “এয়ার বাস” বৃটেনে ১৪,০০০ কর্মীকে নিয়োজিত রাখে। তাদের এমন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার এই কর্মীদের চাকুরী নিরাপত্তাহীন হয়ে উঠেছে।
লণ্ডন, কেমডেন থেকে বৃটিশ সংসদের তুখোড় এমপি, যিনি শ্রমিকদলীয় ছায়া সরকারের ‘ব্রেক্সিট’ বিষয়ক ছায়া মন্ত্রীও, আজই কয়েক ঘন্টা আগে টুইট করে “দি টাইমস”এর এ খবরটি পত্রস্ত করেছেন।
যন্ত্রপাতি উৎপাদন খাতের বিশাল কোম্পানী “দি ইউরোপীয়ান এ্যারোস্পেস কোম্পানী” হবে বৃটেন থেকে পুঁজি প্রত্যাহারের সবচেয়ে বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, “এয়ারবাস” ১.৭ বিলিয়ন পাউণ্ডের টেক্স প্রদানকারী একটি বৃহৎ কোম্পানী। টাইমস লিখেছে, উড়োজাহাজের ডানা নির্মাণকারী এই প্রতিষ্ঠান বৃটেনে অবস্থিত তাদের উৎপাদনক্ষেত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করছে এবং খুব সম্ভবতঃ তারা চীন কিংবা আমেরিকা অথবা ইউরোপের অন্য কোন দেশে তাদের কারখানা সরিয়ে নিবে।
এ বিষয়ে আসন্ন গ্রীষ্মে নতুন করে বিনিয়োগের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তারা নিতে যাচ্ছে বলে টাইমস উল্লেখ করেছে। তাদের ভয় ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার কাজে সরকার তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছে না ফলে ২০১৯সালের মার্চ মাস থেকে বৃটেনে ‘ইইউ সেপ্টি সার্টিফিকেশন’ কার্যকরী থাকবে না। এ ছাড়াও কাস্টমস নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রেও কোন নিশ্চয়তা তারা দেখছে না। ফলে তাদের এই সিদ্ধান্ত।