1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি। পর্যটকদের সেবায় প্রস্তুত চায়ের নগরী - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি। পর্যটকদের সেবায় প্রস্তুত চায়ের নগরী

কাওছার ইকবাল॥
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৬ পড়া হয়েছে

 

পর্যটক বরণে প্রস্তুত শ্রীমঙ্গল, বাড়তি নিরাপত্তায় যোগ হয়েছে
সড়ক বাতি ও সিসি ক্যামেরা
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার। দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করার জন্য পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে অনেকেই ছুটে আসছেন দেশের পর্যটন স্থানগুলোতে। পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত রয়েছে চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গল। দেশের অন্যতম এই পর্যটন এলাকায় থাকার জন্য রয়েছে প্রায় ১০০টি হোটেল–রিসোর্ট। যার মধ্যে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা আবাসন ব্যবসায়ীদের। ঈদের দিনসহ কয়দিন হোটেল–রিসোর্টগুল ‘হাউসফুল’ থাকার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে এবার বাড়তি নিরাপত্তায় যোগ হয়েছে সড়কবাতি ও সিসি ক্যামেরা। মূলত শ্রীমঙ্গলের পর্যটন স্থানগুলোতে নিরাপদ ভ্রমন ও বসবাসের জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মোট ১২৭টি সোলার প্যানেলের সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। গ্র্যান্ড সুলতান থেকে রাধানগর নভেম রিসোর্ট, নীলকন্ঠ চা কেবিন থেকে কালিঘাট চা-বাগানসহ আরও কিছু এলাকায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন।

পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমন বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমি এখানে আসার পর থেকেই দেশের আকর্যনীয় চায়ের রাজধানী পর্যটন সমৃদ্ধ শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের চলাফেরা ও রাত্রিযাপন নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সোলার প্যানেলের সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ট্যুরিস্ট পুলিশ ও রিসোর্ট মালিকদের সমন্বয় করে পর্যাপ্ত পরিমান সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টিরও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল বিভাগের সাথে আমরা একাধিক বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারসহ এলাকাবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন।

 

 

দেশের অন্যতম পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে শতাধিক পর্যটন স্পট থাকলেও দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ হলো শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা। ফলে এই দুই উপজেলাসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকা মানের রিসোর্টসহ শতাধিক রিসোর্ট, ইকো কটেজ, হোটেল ও মোটেল।

শ্রীমঙ্গলের চারদিকে সবুজের সমারোহে সজ্জিত সারি সারি চা-বাগানের নয়নাভিরাম দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের। পাশাপাশি দার্জিলিং টিলা, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই), টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়াম, হাইল হাওর, মৎস্য অভয়াশ্রম বাইক্কা বিল, নীলকণ্ঠ সাত রঙের চা কেবিন, চা–কন্যা ভাস্কর্য, বধ্যভূমি-৭১, লাল পাহাড়, শঙ্কর টিলা, গরম টিলা, ভাড়াউড়া লেক, ওয়ার সিমেট্রি, হরিণছড়া গলফ মাঠ, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী পল্লিগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের পার্শ্ববর্তী কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, নুরজাহান চা–বাগান পর্যটকদের বিমোহিত করে।

 

 

ঈদ উপলক্ষে ট্যুর গাইডরাও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত সময় কাটাবেন। ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সাজু মার্চিয়ান বলেন, নির্ধারিত এলাকায় নির্বিঘ্নে ভ্রমনের জন্য পর্যটকরা গাইডের উপর নির্ভর করেন। তাই গাইডরাও প্রচুর বুকিং পেয়েছেন বলে তিনি জানান। গাইডরা সাধারণত একদিনের জন্য ১৫০০-২০০০ টাকা ফি নিয়ে থাকেন। এর বিনিময়ে গাইডরা পর্যটকদের পর্যাপ্ত সেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও লাউয়াছড়া ট্রেইল এলাকায় ঘন্টা হিসেবে ভ্রমনের সুযোগ রয়েছে।

শ্রীমঙ্গলের পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বেশি রিসোর্ট রয়েছে রাধানগর এলাকায়। পর্যটন কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও রিসোর্ট ব্যবসায়ী কাজী সামছুল হক বলেন, ‘রমজান মাসে প্রায় পুরোটা সময় প্রায় ফাঁকাই ছিল রিসোর্টগুলো। ঈদের টানা ছুটিতে এবার ভালো ব্যবসা হবে বলে আমরা আশাবাদী।

ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের বন্ধে পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে আমরা ডিউটি তদারকি করব। ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।’

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমদ বলেন, ‘কোনো উৎসব বা সরকারি লম্বা ছুটিতে মানুষ ঘুরতে বের হয়। ঈদ সামনে রেখে প্রতিটি হোটেল, রিসোর্টকে পরিষ্কার–পরিছন্ন ও সাজানো–গোছানো রয়েছে। বেশির ভাগ হোটেল–রিসোর্টেই ঈদের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। হোটেল–রিসোর্ট ভেদে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের কয়েক দিন হোটেল–রিসোর্টে শতভাগ বুকিং থাকবে বলে তিনি আশা করছেন।

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT