আব্দুল ওয়াদুদ।। মৌলভীবাজারের নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলা কলস গ্রামে সংঘটিত দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা শেষে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলে ডাকাত সর্দার বুলু নিহত হয়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ওই রাতে পুলিশের হাতে আটক হয় দুই ডাকাত। এক ডাকাতের নাম সিলেটের বিয়ানীবাজারের লাল মিয়া জানা গেলেও এখন জানা গেছে তার আসল নাম নাককাটা “ছয়ফুল আলম ওরফে আলম ডাকাত”। শীর্ষ ডাকাত আলম সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের মৃত ছাইদুর রহমান কোটাই এর ছেলে বলে জানা গেছে। তবে আটকের সময় সে পুলিশকে জানিয়ে ছিল তার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায়।
ওই রাতের প্রত্যক্ষদর্শী সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর প্রাথমিকভাবে তার নাম লাল মিয়া বলে পুলিশের কাছে জানালেও পরবর্তীতে তার নাম ছয়ফুল আলম ওরফে আলম ডাকাত বলে জানা যায়।
উল্যেখ্য, গেল শনিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলা কলস গ্রামের ছালিক বেগ মাস্টারের বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ৯৯৯ এর মাধ্যমে এমন সংবাদ পেয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে ডাকতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় এক ডাকাত নিহত হয়। আটক হয় আরো ২ ডাকাত। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন সোমবার বিকেলে জানান, ওই ঘটনায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আটকৃত ডাকাতদের দেয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।