লন্ডন: শনিবার ৪ঠা চৈত্র ১৪২৩।। দরজা খুলেই দেখি মেয়েটির মুখের একটি অংশ কি দিয়ে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে। প্রাণের ভয়ে আর যন্ত্রণায় চিৎকার করছিল মেয়েটি। আর এই চিৎকার শুনেই হোটেলের মালিক বোর্ডারের ঘরে ঢুকে এক পৈশাচিক বীভৎস দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইলেন। সেই অবস্থায়ই মেয়েটির মুখের মাংস ছিঁড়ে খাচ্ছে ওই বোর্ডার। দ্রুত পুলিশকে ফোন করেও বাঁচানো যায়নি মেয়েটিকে। যদিও পুলিশ গ্রেফতার করেছে বোর্ডারকে। ইংলেন্ডের সাউথ ওয়েলসের সিরহুই আর্মস হোটেলে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে।
হোটেলের মালিক ৫০ বছরের প্রৌঢ়া মেন্ডি মাইলস জানান, নীচ থেকেই মেয়েটির চিৎকার শুনতে পাই। উপরের ৭নং রুম থেকেই এই করুণ আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছিলাম- “আমায় মেরো না, আমায় মেরো না।” দরজা সামন্য খুলতেই গা শিউরে উঠে। বোর্ডার উইলিয়াম একটি স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মেয়েটির এক গাল ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। আর সেখান থেকেই মাংস তুলে খাচ্ছে। কি বিভৎস সে দৃশ্য। আমি সাথে সাথে নীচে নেমে পুলিশে ফোন করি। তবে পুলিশ আসার আগেই মেয়েটিকে খুন করে মেথিউ উইলিয়ামস।
নিহত তরুণী সেরিস ইয়েম একজন ওয়েট্রেস। হোটেলের পাশেই একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। উইলিয়ামসের সাথে ওখানেই তার পরিচয় হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই তাদের পরিচয় হয়। কাজ শেষ হবার পর উইলিয়ামসই তার সাথে কথা বলতে চায়। সেই মতে পাশের হোটেলে ডেকে নেয় তরুণীকে আর সেখানেই খুন হন সেরিস।
পুলিশ জানায়, মেথিউ দীর্ঘদিনের নেশা আসক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে না পারলেই ‘পেরানয়েড স্কিত্জোটফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়। এর আগে অপরাধমূলক কাজে গ্রেফতার হয়েছে। (টপবাজ এনজেড হেরাল্ড থেকে)