মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আসামী করে হয়রানির অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোঃ আতাউর রহমান খান নামে এক ব্যক্তি। ১৮ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন(মামলা নং সিআর ৫৫৬/২২)। আদালত অধিকতর শুনানীর জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্ষ্য করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- (১) ধর্ষণ মামলার বাদী তুলনা বেগম(২) ফাহমিদা বেগম(৩) বানেছা বেগম(৪) সুফিয়া বেগম ও (৫) শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবির। বাদী মোঃ আতাউর রহমান মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের সাবেক ব্যবস্থাপক। মামলার এজহার থেকে জানা যায়, তৎকালিন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ(বর্তমানে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ) মোঃ আব্দুছ ছালেক বাদী সহ ধর্ষণ মামলার অন্যান্য আসামীদেরকে হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে শ্রীমঙ্গলের তুলনা বেগমের দায়ের করা মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আসামী করেন। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আরও জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ এনে তুলনা বেগম ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন(মামলা নং ২৬/৩৬৭)। মামলায় চা বাগান ব্যবস্থাপক মোঃ আতাউর রহমান সহ ৬ জনকে আসামী করা হয়। এ মামলায় মোঃ আতাউর রহমান কারাভোগও করেন। ধর্ষণ মামলায় প্রতিবন্ধী ইকবাল হোসেন রাসেলকে আসামী করা হয়। ওসি ছালেক ও তদন্ত অফিসার হুমায়ুন কবির নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য এক পর্যায়ে ধর্ষণ মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদনে চা বাগান ম্যানেজার মোঃ আতাউর রহমান সহ ৫জনের নাম বাদ দেন। এবিষয়ে মামলার বাদী মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমার সম্মানক্ষুন্ন এবং হয়রানি করার জন্য একটি চক্রের পরিকল্পনায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মিথ্যা মামলায় কারাভোগের পর ন্যায় বিচারের জন্য সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করি। কিন্তু কোনো সুবিচার পাইনি। যার প্রেক্ষিতে ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। ওসি আব্দুছ ছালেক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির সুপরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। অভিযুক্ত শ্রীমঙ্গল থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ হুমায়ুন কবির মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত হলে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। অভিযুক্ত কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে কি কারণে আমাকে আসামী করেছেন বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছি না। |