বিগত ১৯ আগষ্ঠে প্রকাশিত একটি মৃত্যু সংবাদ। পত্রিকান্তরে খবরে জানা যায় যে, বিয়ের সপ্তাহ হতে না হতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামের নববধু রুনা বেগম। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের রুনা বেগমের বিয়ে হয়েছিল একই ইউনিয়নের নঈনারপার গ্রামের আজির মিয়ার ছেলে দিন মজুর শরিফ মিয়ার সঙ্গে। বুধবার রাত ১০টায় নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রুনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, নববধূ রুনার পেটের ব্যথার কারণে বুধবার দিনে মৌলভীবাজার জেলা সদরে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেন। তার মা তাকে ডাক্তার দেখিয়ে স্বামীর বাড়ি রেখে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এদিকে স্বামী শরিফ মিয়াও বাড়ি থেকে বাজারে চলে যান। রাত ১০ টায় তার শ্বাশুড়ি গিয়ে দেখেন নববধূর ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর সে দরজা না খোলায় পিছনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান সে গলায় ফাঁস দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলে রয়েছে। কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে লাশটি তার পরিজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। নববধু রুনা বেগমের মর্মান্তিক এ মৃত্যুতে একটি বিষয় বলতেই হয় যে সত্যি সত্যি এ ঘটনাটি কি আত্মহত্যা না-কি এর পেছনে কোন রহস্য লুকানো আছে। বিয়ের ৬দিন হতে না হতেই কেনো একজন নব বিবাহিত বৌ নিজের জীবন বিসর্জন দেবে? আত্মহত্যা হলেও এর পেছনে কারণ অবশ্যই রয়েছে। এর কারণ খুঁজে বের করার দায়ীত্ব অবশ্য ডাক্তার আর পুলিশের। তাদের সাহায্য সহযোগীতা করতে পারবেন নিষ্ঠাবান সাংবাদিককূল। আর সমাজের সুস্থতার তাগিদে এ রহস্যের জঠখোলা অতীব আবশ্যক। রুনা বেগম যা-ই হয় না কেনো মানব সন্তানতো। সে ও তো মনে স্বাদ আহ্লাদ লালন করতো। দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে জীবনকে আলোকোজ্জ্বল করার স্বপ্ন দেখতো। |