“স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই” প্রতিপাদ্য নিয়ে গেল ২ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪। জনগণের পুষ্টি ঘাটতি মোকাবেলা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরাপদ ভোজ্যতেলের অবদান অনস্বীকার্য। তবে বাংলাদেশে ড্রামে বাজারজাতকৃত খোলা ভোজ্যতেল জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টির পাশাপাশি “ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩”-সহ নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত আইন, বিধি ও প্রবিধানমালা বাস্তবায়নে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।
ড্রামের খোলা ভোজ্যতেলে ভেজাল মেশানোর সুযোগ থাকে এবং ননফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক ড্রাম পুনঃ পুনঃ ব্যবহারের ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, ড্রামে বাজারজাতকৃত খোলা ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ থাকে না অথবা সঠিক মাত্রায় পাওয়া যায় না। জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট জরিপ ২০১১-১২ অনুযায়ী, ০৬-৫৯ মাস বয়সি শিশুদের ২০.৫ শতাংশ এবং ১৫-৪৯ বছর বয়সি নারীদের(গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী ব্যতীত) মধ্যে ৫.৪ শতাংশ ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতিতে ভুগছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত অকাল মৃত্যু এক-তৃতীয়ংশে কমিয়ে আনা সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(লক্ষ্য ৩.৪) অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র(প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “জনস্বাস্থ্য সবার উপরে। ড্রামের খোলা তেলের স্বাস্থ্যক্ষতি সম্পর্কে নীতিনির্ধারক, উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং সাধারণ মানুষ সকলকেই সচেতন হতে হবে।”