পূর্ব বিরোধে জোড়া খুন
হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বন্দুক জব্দের দাবিতে
সংবাদ সম্মেলন
মৌলভীবাজারে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বন্দুক জব্দের দাবিতে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ওয়েস্টার্ণ রেষ্টুরেন্টে নিহত রেদওয়ানের পরিবার ও তার স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে গত ২৮ জুলাই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের পংমধপুর গ্রামে আকবরের গুলিতে নিহত হন রেদওয়ান। গুরুতর আহত হয়ে বাম পায়ের হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে আশিক মিয়ার। আরও অনেকেরই শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গে আঘাত পেয়েছেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত রেদওয়ানের মাতা রেশনা বেগম ৩০ জুলাই মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তারা বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্তরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। হত্যাকারীদের কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে ফের হত্যার হুমকি দিচ্ছে অপরাধীরা। কিন্তু পুলিশ কোনো ভুমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেন। প্রশাসন আন্তরিক না হলে আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে আসামী মুকিদ মিয়া, ছুফি মিয়া, জাবেদ মিয়া, লেফাস, লিয়াকত, ছায়াদ ও জমশেদ নিহত রেদওয়ানের বাড়ির রাস্তার পাশে এসে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়। তাদের অভিযোগ, বিষয়টি পুলিশকে ফোনে অবগত করলেও সহযোগিতা মেলেনি।
ভোক্তভোগীরা আরও বলেন, আসামীদের ভাই আমেরিকা প্রবাসী জিলাদ মিয়া সম্প্রতি দেশে এসে তার গোষ্টির সবাইকে নিয়ে বসে আবারও সংঘর্ষের পরিকল্পনা করছে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন নিহত রেদুয়ানের পরিবার সহ এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন যে, ২/১ বছর পর পর তাদের এলাকায় খুন হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি জিলাদ বাহিনির কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত রেদওয়ানের মা রেশনা বেগম, পিতা খালেদ মিয়া, ভাই ফয়ছল আহমদ, এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মো: ফারুক মিয়া, মো: ফখরুল ইসলাম, নিরা বেগম, আশিক মিয়া ও রিপন মিয়া প্রমুখ।