পরিত্যক্ত বস্তা ভর্তি সিমেন্ট থেকে পাথর সৃষ্টি
মেয়াদ উত্তীর্ণ পাথর ভেঙ্গে খোয়া তৈরি;
ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা নির্মাণ কাজ।
পরিত্যক্ত বস্তা ভর্তি সিমেন্ট দীর্ঘদিন থাকার পর সৃষ্টি হয়েছে পাথরের। মেয়াদ উত্তীর্ণ সেসব পাথর ভেঙ্গে তৈরি হচ্ছে নির্মাণ কাজের খোয়া। মেয়াদ উত্তীর্ণ এসব খোয়ায় নির্মাণ কাজ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের উসমানগড় এলাকায় এভাবে দীর্ঘদিন ধরে পাথরের খোয়া উৎপাদনের পর রাস্তাঘাট ও ভবন নির্মাণে সেসব খোয়া অবাধে বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, খোয়া নির্মাণ কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কংক্রিট তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে প্রথম শ্রেণির পাথর কিংবা ইট ভেঙ্গে খোয়া তৈরি করা উচিত। সেখানে খোয়া তৈরি হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্টের পাথর থেকে। বস্তা ভর্তি সিমেন্ট দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার পর সেগুলো পাথরের সৃষ্টি হয়েছে। বছরের পর বছর মাটির মধ্যে থাকার পর সেই পাথরগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নি¤œমানের হয়ে পড়ে। সেসব পাথর সংগ্রহ করে একটি মহল উপজেলার উসমানগড় এলাকায় তৈরি করছে পাথরের কংক্রিট। মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে অনেকেই না জেনে ভবন কিংবা রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য কিনে নিচ্ছেন। আর তাতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে পাথর উৎপাদনকারী ঐ মহল।
এ ব্যাপারে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাথর দিয়ে খোয়া তৈরির বিষয়ে উসমানগড়ে কারখানার মানেজার সুমন মিয়া বলেন, শমশেরনগওে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ইউনিট থেকে ১৪ লাখ টাকায় এগুলো কিনে আনা হয়েছে। এখন খোয়া তৈরি করা হচ্ছে। যারা কাজে লাগাবেন তারা পাথরের খোয়া দেখেশুনেই কিনে নিচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাঈফুল আজম বলেন, এগুলো আমাদের রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যবহার হয় না। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ নিয়ে গেলে সেটি তাদের বিষয়। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
![]() |
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন “রোভার স্কাউট গ্রুপের” সদস্যদের দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুদিন ব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এ.বি.এম. মোখলেছুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের গ্রুপ সম্পাদক ও রোভার স্কাউট লিডার(আর.এস.এল) সহযোগী অধ্যাপক বিজন চন্দ্র দেবনাথ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ গার্ল-ইন-রোভার ইউনিটের আর.এস.এল তাহমিনা আক্তার শিউলি (প্রভাষক উদ্ভিদবিজ্ঞান)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন রোভার সৈয়দ আরমান জামি এবং রোভার জায়েদ মিয়া(এস.আর.এম)।
প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী রোভার মোঃ তাহিদুল ইসলাম। প্রশিক্ষণে তিনি সাইবার বুলিং ও সেভ ফ্রম হার্ম ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
![]() |
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে “সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআইয়ের প্রভাব” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮ টায় কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম, এ, ওয়াহিদ রুলুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর।
সাংবাদিক নির্মল এস পলাশের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আহমেদুজ্জামান আলম, সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, শাহীন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আসহাবুজ্জামান শাওন, সালাহউদ্দিন শুভ, মোনায়েম খান, শামীম তালুকদার, মুমিন আহমেদ, জালাল উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও মুক্ত রাখতে হলে সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য। ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজ গণতন্ত্র ও সুশাসনের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি পেশাগত মানোন্নয়নেও ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাংবাদিকদের ভয়ের পরিবেশমুক্ত কর্মক্ষেত্রের অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তারা সরকারের কাছে জোরালোভাবে দাবি জানান, যেন মুক্ত সাংবাদিকতার পথে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।