সকলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের জন্য
লর্ড কার্লাইলের আহ্বান
‘ আওয়ামীলীগ সহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন ছাড়া কোন নির্বাচনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না’। গত ১৮ নভেম্বর ‘২৪ বৃটেনের ‘হাউস অব লর্ডস’-এ অনুষ্ঠিত এক বিশেষজ্ঞ আলোচনা সভায় লর্ড কার্লাইল এমন বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রায়নের পথে প্রতিবন্ধকতা বিষয়ক ‘হাউস অব লর্ডস’-এর ওই আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামাতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।
বিশেষজ্ঞ ওই আলোচনা সভায় লর্ড কার্লাইল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগীতার উদ্দেশ্যে একটি কৌশলগত পন্থা হিসেবে সত্য ও সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে একটি “ট্রুথ এণ্ড রিকন্সিলেশন কমিশন” প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন। সিয়েরা লিওনে তার সফল অভিজ্ঞতার কারণে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিচারসভার জামাত-এর আইনজ্ঞ কম্মাগ কেসি বিজ্ঞ আলোচনায় লন্ড কার্লাইলের এ প্রস্তাবনাকে সমর্থন করেন।
বিজ্ঞজনদের এ আলোচনায় ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বিশেষ করে সুষ্ঠ নির্বাচন, বিচারিক পদ্ধতির সংস্কার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। ডাঃ রহমানের দূর্ণীতিগ্রস্থ বিচার পদ্ধতির সংস্কার ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। সভায়, রুপা হক এমপি এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থার সাবেক কর্মি আব্বাস ফয়েজ তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। অবশ্য জামাত নেতা এসব অভিযোগ বিষয়ে তার দলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
বাংলাদেশ বিষয়ক ওপর এক আলোচনায় গত ১৯ নভেম্বর অংশ নিয়ে, সমমনা গণতান্ত্রিক জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ফিরে আসার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সাংসদদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করে লর্ড কার্লাইল জোর দেন ব্যাপক সংস্কার, গণতান্ত্রিক অখণ্ডতা ও বিচারিক ন্যায্যতার উপর।
বিজ্ঞজন সভা ও পরবর্তীতে আয়োজিত সভা, বাংলাদেশকে সাহায্য করার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আগ্রহের বিষয়টিই ফুটে উঠে। বাংলাদেশের এ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া- অংশ গ্রহনমূলক নির্বাচন, বিচারবিভাগীয় স্বচ্ছতা ও সম্ভাব্য সমন্বয়সাধনের বিষয়ে বাংলাদেশ যে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে তারই প্রমান বহন করে।