গবেষণায় বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই যে এমন ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হবে, তা জোর দিয়ে বলা কঠিন। কিন্তু এই ধরনের ভূমিকম্প প্রায় অনিবার্য। কেননা, এই এলাকায় পৃথিবীর ক্রাস্ট-এর একটি অংশ অন্য অংশের উপরে বিপুল পরিমাণে চাপ তৈরি করতে শুরু করেছে।
ছোট বা মাঝারি নয়, রীতিমতো বড় মাপের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে ভারত এবং বাংলাদেশ। সম্প্রতি একটি গবেষণায় তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪০ মিলিয়ন মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
‘‘নেচার জিওসায়েন্স’’ পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, খুব শিগগিরই এমন ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হবে, তা জোর দিয়ে বলা কঠিন। কিন্তু এই ধরনের ভূমিকম্প প্রায় অনিবার্য। কেননা, এই এলাকায় পৃথিবীর ক্রাস্ট-এর একটি অংশ অন্য অংশের উপরে বিপুল পরিমাণে চাপ তৈরি করতে শুরু করেছে। চলছে লাগাতার ঠেলাঠেলি। আরও সবিস্তার গবেষণা না-করে আনুমানিক সময় বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণাটি হয়েছে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফিজিসিস্ট মাইকেল স্টেকলারের নেতৃত্বে। দেখা গিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা সবথেকে বেশি পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশে। যে ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটির উৎসস্থলের মধ্যেই কলকাতা-সহ গোটা পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের অন্তত ৬২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা পড়ে বলে দাবি গবেষকদের। প্রধানত উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রবল ভূমিকম্পে সুনামির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
গবেষকরা বলেছেন, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় মাটির ১৯ কিলোমিটার নীচে যে কাদা রয়েছে, তা জিলেটিনের মতো কেঁপে উঠতে পারে। বহু জায়গায় সেই কাদা তরল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে বহু এলাকা তলিয়ে যেতে পারে মাটির তলায়। বলা হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতটাই হতে পারে যে, ঢাকার মতো শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে।(আনন্দবাজার থেকে)