মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। দ্বিতীয় দফায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জয় ঘরে তুলে নিল বাংলাদেশ। এ বিজয়ের পেছনে অনেকেরই অনেক কাজ ক্রিয়াশীল ছিল। একা কারো পক্ষে এমন জয়ের আনন্দ গায়ে মাখা সম্ভব নয়। তবে মাঠে থেকে সামনা-সামনি খেলা যারা দেখেছে তারা সাকিব আল হাসানের নাম বলবেই। সাথে লিটন দাসের নামকেও উচ্চারণ করবেই। সাকিবতো খ্যাতিমান, ক্রিকেটের প্রধান দু’টি দিক বেটকরা ও ফিল্ডরক্ষা, দু’বিষয়েই তিনি সনদ পাওয়া “অলরাউন্ডার”।
আজ সোমবার ১৭ই জুনের সমারসেটের খেলায় সাকিব আগাগোরা খেলে গেছেন। শতরানের উপরে করেছেন। ১২৪রান ‘নটআউট’। কেউ তাকে না ‘রানআউট’ না ‘বলআউট’ কোনটাই করতে পারেননি। বীরদর্পে তিনি বিজয়ের মুকুট নিয়ে মাঠ থেকে নেমেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার ইতিহাস সৃষ্টিকরা আজকের এ দিনে সাকিবের সাথে বেট করার জুটি ছিলেন লিটন দাস। তিনিও মাত্র ৬টি রানের জন্য শতরানের খেতাবটা ঝুলিতে উঠাতে পারেননি। কিন্তু কম যাননি। লাগাতার ৩টি ৬রানসহ মোট ৯৪রানের দাও নিয়ে সাকিবের সাথে মাঠ থেকে ফিরেছেন।
খেলার শুরু হয় বাংলাদেশের বেটকরা দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২১রান নিয়ে ৫০ অভার শেষ করে। আসে বেটকরায় বাংলাদেশের পালা।
মাঠে নামেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সৌম্য ৫২রান সংগ্রহ করে মাঠ থেকে নামেন। এবার তামিমের সাথে জুটি হন সাকিব আল হাসান। দৌড় সংগ্রহ করতে গিয়ে তামিমকে মাঠ থেকে নেমে আসতে হয়। অবশ্য দৌড়ের পরিমান কম ছিল না। ৪৮রান নিয়ে মাঠ থেকে নামেন। আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক মাঠ থেকে নেমে যাবার পর বাংলাদেশ একটু হতাশ হয়ে গেলেও কিছু পরেই সে হতাশা কাটিয়ে উঠে এবং অবশেষে জয় নিয়েই ঘরে ফেরে। মোট দুই বিজয়ে খেলার টেবিলে বাংলাদেশ এখন ৫ম স্থানে আছে। সেমিফাইনাল খেলায় থাকার আশায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে আজকের পরাজয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে দিল।