রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মালদ্বীপ নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন জরুরি অবস্থা তুলে অবিলম্বে দেশে সুশাসন ফেরানোর কথা। গুতেরেসের এমন কথার পরও চীন বলছে— বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় ওরা নিজেরাই সমস্যা মিটিয়ে ফেলবে। বাইরের কারও এতে নাক গলানোর দরকার নেই। খবর আনন্দবাজারের।
মালদ্বীপে বিরোধীদের মুখ তথা নির্বাসিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাশিদ বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আশ্রয়ে। আজও তিনি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইয়ামিনের ইস্তফার পাশাপাশি, অবিলম্বে দুই বিচারপতি এবং গৃহবন্দি আশিউর্দ্ধ বয়সী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল গায়ুমের মুক্তি দাবি করেছেন নাশিদ। তাঁর অভিযোগ, বিচারপতিদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে হাজতে। আর গায়ুম নিজে থেকেই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তাই চীনের আপত্তি উড়িয়ে ফের ভারতকে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় দেখতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ভারত কি সেনা পাঠাবে? ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি সূত্র বলছে, বাহিনী তৈরি। কর্মসূত্রে মালদ্বীপে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় রয়েছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে, তাঁদের উদ্ধারের প্রয়োজনে রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানিয়ে ভারত সেনা পাঠাতেই পারে। আর কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, এই পরিস্থিতিতে দিল্লির কাছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একটা সুযোগও থাকছে। প্রশ্ন হলো ভারত কি তা’হলে মালদ্বীপে সেনা পাঠাচ্ছে?