মৌলভীবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে, ভুয়া গুলিবিদ্ধ সেজে
আহত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত
মৌলভীবাজারের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্টে ‘ভুয়া গুলিবিদ্ধ’ সেজে আহত তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে রাজনগর উপজেলার ফজলে রাব্বি নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি আন্দোলনে অংশ না নিয়েও সরকারের অনুদান এবং সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার জন্য নিজেকে আহত দাবি করেছেন।
তথ্য যাচাই করে জানা গেছে, ফজলে রাব্বি ৪ আগস্ট মৌলভীবাজারে কোনো আন্দোলনে অংশ নেননি। তিনি সিলেট সদরে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে পেটের অসুখের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। হাসপাতালের নথি এবং তার অবস্থান প্রমাণ করে, ৪ আগস্ট তার শরীরে কোনো গুলির আঘাত ছিল না এবং আন্দোলনে অংশ নেয়ার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ফজলে রাব্বি তাঁর দাবির পক্ষে কোনো শারীরিক জখম বা গুলির চিহ্ন দেখাতে পারেননি। তার মিথ্যাচারের কারণে প্রকৃত আহতদের ন্যায্য দাবি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। মৌলভীবাজার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংশ্লিষ্টরা এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
![]() বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হবার ভূয়া পরিচয়ে নাম নথিভুক্ত করা ফজলে রাব্বি। ছবি: মুক্তকথা |
এ বিষয়ে ছাত্র জাবেদ আহমেদ বলেন, “ফজলে রাব্বির কোনো প্রমাণ নেই যে সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে বা আহত হয়েছে। তার মিথ্যা দাবির কারণে প্রকৃত আহতরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা এ ধরনের ভুয়া আহতদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবো।”
ফজলে রাব্বি নিজে দাবি করেছেন, তিনি জুলাই আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ১৮ জুলাই সিলেটে পুলিশের টিয়ার গ্যাসে আহত হয়েছিলেন। তবে ৪ আগস্ট মৌলভীবাজারে গুলিবিদ্ধ হওয়ার তার দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে তিনি স্বীকার করেছেন। তার কথায়, “আমি জানি না কিভাবে আমার নাম জুলাই বিল্পবের আহত তালিকায় প্রকাশ হয়েছে।”
রাজনগর উপজেলার স্বাস্থ্য উপকমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সজীব বলেন, “ফজলে রাব্বি ৪ আগস্ট মৌলভীবাজারে ছিল না। তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
এ বিষয়ে রাজনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে জুলাই আন্দোলনের আহত তালিকা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, ফজলে রাব্বির মতো প্রতারকরা আন্দোলনের পবিত্রতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যা আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি হয়ে দাঁড়াবে।
সুধী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মানে মৌলভীবাজারে
ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিল
পবিত্র মাহে রামাদান উপলক্ষে সুধী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখা।
সোমবার, ২৪ মার্চ, বিকেলে সাদী মহল কমিউনিটি সেন্টারে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের সুধী-শুভাকাঙ্খী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও জনশক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী।
![]() |
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ার আহমদ রহমান, মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের আমীর সাবেক শহর সভাপতি হাফেজ তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর সাবেক শহর সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক এনটিভি স্টাফ রিপোর্টার এসএম উমেদ আলী, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম শেফুল, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি দেওয়ান আশিক আল রশিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারী সাবেক শহর সভাপতি আব্দুল মুমিত, যুব জামায়াতের পৌর সভাপতি আবু নোমান মুয়িন, ছাত্রশিবিরের সাবেক শহর সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান, সাবেক জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইন।
এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশীজনদের ও ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা উপস্থিতি ছিলেন। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর কেটে গেছে, বহুবার ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম তা আজ পূরণ হয়নি। কেন তা পূরণ হয়নি তা বিশ্লেষণের অবকাশ নেই।
আমি আশাবাদী ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে ফ্যাসিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ঠিক তেমনি আগামী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণেও ছাত্রশিবির অগ্ৰণী ভূমিকা পালন করবে। দেশ ও জাতিকে সৎ দক্ষ ও দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক উপহার দেবে। বার্তা প্রেরক, মাহমুদ আব্দুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক, মৌলভীবাজার শহর।