মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে এক ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর প্রশাসনের এই উদ্যোগে এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিনের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল সিন্দুরখান ইউনিয়নে অভিযান পরিচালিত হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটার কারণে কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এদিন ৪ নং সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা গ্রামে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়। এসময় এলাকার মেম্বারসহ সকলের উপস্থিতিতে মূল সড়কের সাথে সৃষ্ট রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দাসসহ শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসলাম উদ্দিন জানান, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আজ শনিবার সিন্দুরখান ইউনিয়নে অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ৮০ হাজার টাকা এবং গত বুধবার সদর ইউনিয়নে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার মতো কার্যক্রম বন্ধে আমি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর, আশিদ্রোন ও সিন্দুরখান ইউনিয়নের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এই তিন ইউনিয়নের প্রতিটি স্পটে ডাইভেশন (ব্লক) দিতে, যাতে করে মাটির গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও জোরদার ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাটি কাটার মতো অপরাধ বন্ধে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া, কৃষি জমির সুরক্ষায় আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এদিকে, মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কার্যক্রমে এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অভিযানের সময় বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটার কারণে কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদনে এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
অভিযানের সময় বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটার কারণে কৃষি জমি এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই, অভিযান চলাকালীন স্থানীয়রা প্রশাসনের সঙ্গে মিলে ফসলি জমি রক্ষায় কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন এবং তারা তাদের জমি সুরক্ষিত রাখার জন্য নিজেদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন। শ্রীমঙ্গলের মানুষ আশাবাদী যে প্রশাসনের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং তাদের কৃষি জমি নিরাপদ থাকবে।